থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে কেন্দ্র করে নানা আয়োজনে ব্যস্ত সবাই। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, সবাই একসঙ্গে আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে পুরোনোকে বিদায় আর নতুনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।.
এই আনন্দ-উল্লাস দেশসহ সারা বিশ্ববাসীর কাছে আনন্দময় হলেও কিছু পরিবারের কাছে তা বেদনায় রূপ নেয়, যেমনটা হয়েছিল ২০২১ সালের বিদায় বেলায়। গত বছর থার্টি ফার্স্ট নাইট ফানুস উড়িয়ে সারাদেশে অন্তত ২০০ স্পটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে শুধু রাজধানীতেই ১০টি স্পটে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। .
গত বছরই দুর্ঘটনার আশঙ্কা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে রাজধানীতে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোঁটানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ডিএমপি। এই নির্দেশনা না মানার কারণেই গতবছর অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটেছিল।.
তবে এবছর ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানোর বিষয়ে রয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। এরপরও যদি এর ব্যত্যয় ঘটে এবং নগরবাসীর নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটে, তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে এবছর বাড়ির ছাদেও কোনো অনুষ্ঠান করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।.
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর প্রতিটি থানায় এ বিষয়ে মনিটরিং করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তার প্রতিটি অলি-গলিতে থাকবে পুলিশ সদস্য। থানা পুলিশের পাশাপশি গোয়েন্দা পুলিশও নজরদারিতে থাকবে। .
সূত্রটি জানায়, রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে ফানুস, আতশবাজি বেশি পাওয়া যায়। বেশিরভাগ মানুষই সেখান থেকে কিনে নিয়ে যান। এবার চকবাজারসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বেশি থাকবে। স্থানীয় বিক্রেতাদের ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ বিক্রি করেন তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। .
এদিকে, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি না ফোটানোতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও থার্টি ফাস্ট নাইটে উপলক্ষে রাজধানীতে যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফানুস ওড়ায় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।.
এদিকে গতবছরের এই ঘটনাগুলো মাথায় রেখে পুলিশের পাশিপাশি র্যাব নিরাপত্তায় কাজ করবে। রাজধানীজুড়ে টহল, চেকপোস্টসহ সাইবার ওয়ার্ল্ডেও তাদের নজরদারি থাকবে।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: