হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বছরের পর বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে ১২টি প্লেন। আকাশযানগুলো দিয়ে কোনো আয় তো হচ্ছেই না বরং বিমানবন্দরের কিছু অংশ পরিণত হয়েছে ডাম্পিং স্টেশনে।.
অকেজো প্লেনগুলোর মধ্যে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ক্রাফটের ৮টি, জিএমজি এয়ারলাইন্সের একটি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে এ বিষয়ে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও পরিত্যক্ত প্লেনগুলো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি সংস্থাগুলো।.
জানা গেছে, ২০২০ সালের আগস্টে কার্গো ভিলেজের সামনে থেকে অকেজো প্লেন সরিয়ে ফেলার প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্লেনগুলোকে সাময়িকভাবে কার্গো ভিলেজের সামনে থেকে সরিয়ে আরও উত্তর দিকে রাখা হয়। রেজিস্ট্রেশন কার্যকর থাকায় আইনি পদক্ষেপ নিয়ে আকাশযানগুলো বিক্রির করতে পারছে না বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।.
এ ব্যাপারে ক্যাপ্টেন কামরুল বলেন, প্লেনগুলো সরিয়ে ফেলার বেশ কিছু ধাপ আছে। কোনোটি ঠিক করার মতো আছে কিনা; আদৌ করা যাবে কিনা যাচাই করা। কোনোটি ওড়ানোর মতো উপযোগী কিনা। যেগুলো নেই সেগুলো নিলামের প্রক্রিয়ার জন্য ফিটনেস যাচাই করে সম্ভাব্য মূল্য নির্ধারণ করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারপর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। .
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৭ বছর পর মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বার্ষিক সাধারণ সভা বসছে। বিগত বছরের শেষ দিকে বেসরকারি এ সংস্থার কাছে বেবিচকের দেনা মওকুফের সুপারিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই এ সভাকে ঘিরে ফের আকাশে ওড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে পুঁজি বাজারের একমাত্র তালিকাভুক্ত বিমান সেবা সংস্থাটির। .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: