অতীতে আমাদের দেশের অধিক সংখ্যক যুবতি শিক্ষিত/অশিক্ষিত মেয়েরা তৈরী করতেন নামাজ পড়া,বসে ভাত খাওয়া,গল্প-স্বল্প,আলাপ আলোচনা,ছাত্রছাত্রীরা বসে করতেন লেখাপড়া ইত্যাদিতে ব্যবহার করতেন অধিক পরিমাণে তৈরীকৃত এ সকল উপকরণ।আবার মুর্তার বেত দ্বারা তৈরী করতেন নানান রকমের দ্রব্যাদি।যেমন আদি,চাটি(চাটাই)ইত্যাদি।অনেকে এ সকল দ্রব্য তৈরীর মাধ্যমে আয়-রোজগার করে পরিবার পরিজন প্রতিপালন করতেন।অর্থ্যাৎ আয়-রোজগারের একটি উৎস হিসাবে হত পরিগণিত।আমার এলাকার বাজারে প্রতি হাঠবারে পৃথক একটি স্থান নির্ধারিত ছিল,যেখানে প্রচুর আদি-চাটাই ক্রয়বিক্রয় হতো নিয়মিত।এ সকল ক্রয়বিক্রয় হতো প্রচুর পরিমাণে এবং শুধু আদি চাটাইয়ের পৃথক একটি বেশ বড় গলি ছিল।.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
এ সকল দ্রব্যাদি সিলেট শহরে এবং রসুলগঞ্জ নামক বাজারে নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতেন।অনেক মেয়েরা শখের বসে সৌখিন উপকরণ হিসাবে তৈরী করতেন, রাখতেন গৃহে সাজিয়ে।অতিথি বা আত্মীয়-স্বজন কারুকার্যময় উপকরণ দর্শনে হতেন অভিভুত।তৈরীর সময় ঐ বেতদ্বারাই আঁকতেন সুনিপুন শিল্পীর ছোঁয়ায় বাংলাদেশের মানচিত্র,পশু-পাখি,জীবজন্তু,বিভিন্ন প্রকারের নকশা সমৃদ্ধ নিখুত,অতি সুন্দর ও সুন্দর্যময় দ্রব্য।গ্রামের মেয়েরা একেকজন সুদক্ষ কারিগর নকশা সম্বলিত আদি-চাটাই বুনতেন কত না মাধুর্য মিশ্রিত মন-মননশীলতায়।ছিলেন একেকজন বুনন প্রক্রিয়ার আকর্ষিক কারিগর।সে সময় প্রত্যেক পরিবারে দেখা যেত এ সকল দ্রব্যাদি।মানুষ কাজকে ভালবাসত অন্তর থেকে লালিত স্বপ্ন নিয়ে।কোন কোন কাজ দেখে মানুষ প্রেমে(পিরিতি নয়,কাজের দক্ষতার হার্দিক প্রেমে) পড়ে যেত।ঐ মেয়ের বিয়ে-শাদি হত ত্বরান্বিত।আজ মুর্তা যেমন গিয়েছে হারিয়ে,বুনন কাজ ও চলে গেছে পর্দার আড়ালে।কোথাও গেলে ঘরের দেয়ালে দেখা যায় না লটকানো আদি-চাটাই।আজ হয়েছে সবকিছুই যান্ত্রিক।বেশ কিছুদিন ঘুরে ঘুরে আমি এ চিত্রটি পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হয়ে সংগ্রহ করি।পাঠককে উপহার দিতে পেরে আমার বেশ ভালই লাগছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: