• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে জেলেদের মাছ লুটের অভিযোগ


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:১৬ পিএম;
লক্ষ্মীপুর, মেঘনা, নদী, জেলে, মাছ, লুট, অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে জেলেদের মাছ লুটের অভিযোগ

আব্দুল মালেক নিরব  লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় মাছ ধরার সময় জেলেদের মাছ লুটের অভিযোগ স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এসময় জেলেদের মারধরেরও ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জেলে রিপন মাঝি। সে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ঝাউডগী গ্রামের সিরাজ মাঝির ছেলে।.

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

অভিযুক্তরা হলেন, সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগের মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা আব্দুর রহিম, তথ্য সংগ্রহকারী মোঃ শাওন ও জেলা মৎস্য অফিসের স্পিড বোর্ড চালক মোঃ স্বপন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩অক্টোবর থেকে ০৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ঘোষনা করা হয়। জেলে রিপন লোক মুখে জানতে পারেন ০২ নভেম্বর বিকাল হতে নদীতে মাছ ধরা যাবে। অনেক লোকই তার সাথে নদীতে মাছ শিকার করতে যায়। গত ০২ নভেম্বর শনিবার আনুমানিক রাত ২টার সময় লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানাধীন লুধুয়া ঘাট সংলগ্ন মাছ ধরা শেষে লুধুয়া ঘাটের দূরবর্তী নদীতে থাকা কালীন অভিযুক্তরা মৎস্য  অফিসের পরিচয় দিয়ে স্পিড বোর্ড যোগে গিয়ে মাছ ধরার নৌকা, মাছ, জাল ও লোকজনকে আটক করেন। এসময় অভিযোগকারী জেলে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তাহার মধ্যে থেকে একজন ব্যক্তি সদর মৎস্য অফিসের মেরিন অফিসার বলে পরিচয় দেন এবং নিজের নাম আব্দুর রহিম বলে জানান। তাহার সাথে অপর ২ জন হলো মোঃ শাওন ও বোর্ড চালক স্বপন। তারা জেলেদের আটক করে নদী ঘাট থেকে দূরবর্তী স্থানে নিয়ে গিয়ে তাদের বলে তোমাদের গ্রেফতার করবো না, তবে তোমাদের আহরনকৃত ইলিশ এবং পাঙ্গাস মাছ (যাহা পাঙ্গাস ১টার ওজন হবে প্রায় ১০ কেজি করে) বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা দিয়ে দিতে বলেন। তাহলে তোমাদের ছেড়ে দেব। জেলেরা মাছ এবং জাল দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। উপরোক্ত মৎস্য অফিসের স্টাফ এবং স্পিরিড বোর্ড ড্রাইভার স্বপনসহ ৩ জন মিলে জেলেদের  বেধম মারধর করে এবং তাদের মাছ জোর করে নিয়ে চলে যান। যাওয়ার সময় তারা এ বলে হুমকি দেয়, এবিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে পরবর্তীতে তোদের নদীতে পেট কেটে ইলিশ মাছকে খাইয়ে দিব। .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

রিপন মাঝি বলেন, আমরা সাধারণ জেলে। মৎস্য অফিসের লোকদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তারা আমাদের সহযোগিতার চেয়ে হয়রানিই বেশি করেন। ২তারিখে আমাদের মাছ লুট করে নিয়ে যান এবং হুমকি ধমকি দেন। এ বিষয়ে আমি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।.

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

অভিযোগের বিষয়ে আব্দুর রহিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২তারিখে আমাদের কোন অভিযান হয় নি। কে বা কারা অভিযোগ করেছেন তা আমার জানা নেই।  যে অভিযোগ এনেছে তা মিথ্যা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, জেলে যে অভিযোগ এনেছে তার কোন ভিত্তি নেই। আমি এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাই নি। .

 .

 . .

ডে-নাইট-নিউজ / আব্দুল মালেক নিরব 

জাতীয় বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ