জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।.
এ মহীয়সী নেত্রীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষে সভাপতি মো হারুণ সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক মো জালাল উদ্দীন জলহ ও নির্বাহী সদস্য মো আবদুল কাইয়ুম। .
সাজেদা চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ফরিদপুর–২ আসন থেকে তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।.
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৩৫ সালে। পঞ্চাশের দশকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর সংকটময় মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।.
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাজেদা চৌধুরী বন ও পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর নবম জাতীয় সংসদে সাজেদা চৌধুরীকে প্রথমবার উপনেতা করা হয়। এরপর দশম সংসদেও তিনি উপনেতার দায়িত্ব পান।.
চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করে পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: