আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটের ভাটেরার মেয়ে টিকটিক অভিনেত্রী সনিয়া হত্যার শিকার হন রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) নগরের খুলিয়পাড়া নিলিমা আবাসিক এলাকার ১৪ নং বাসায় ওই ছাত্রী ও অভিনেত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে সজিব নামে নিহতের মামাতো ভাই উধাও।.
সূত্রে জানা যায় গত কয়েক দিন ধরে সনিয়াদের বাসাতে অবস্থান করছিলেন সজিব। নিহতের বাবার সন্দেহ, সজিবই তার মেয়েকে খুন করে পালিয়েছে। পুলিশসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তার দিকে সন্দেহের তীর ছুড়ছে, তাকে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসন ছায়া তদন্ত ও প্রযুক্তির ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে।.
নিহতের বাবা সেলিম মিয়া বলেন, সজিব নামে সনিয়ার মামাতো ভাই সপ্তাহ ধরে এ বাসায় ছিল। সে বখাটের মতো চলাফেরা করত। মাঝে মধ্যে ঢাকায় গিয়েও থাকে। সিলেটে এসে আমার বাসায় ওঠে। ঘটনার পর থেকে সজিব উধাও। আমার ধারণা, সজিবই আমার মেয়েকে খুন করে পালিয়েছে।.
তিনি আরও বলেন, আমি চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গিয়ে ছিলেন। ঘরে পুত্রবধূ ও মেয়ে সনিয়া ছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিওে দেখি পুত্রবধূর মুখ বাঁধা, সে খাটে শুয়ে আছে। আর আমার মেয়ে মেঝেতে পড়ে আছে। কাছে যেতেই মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।.
সনিয়া মৌলভীবাজারের ভাটেরা ইউনিয়নের হিন্নাত গ্রামের সেলিম মিয়ার মেয়ে। তিনি দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। নিলিমা আবাসিক এলাকার ওই বাসায় সপরিবারে থাকতেন সনিয়া। পড়াশোনার পাশাপাশি সিলেটি আঞ্চলিক ভাষায় নাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সনিয়া।.
এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, কলেজছাত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। তবে আমরা খুনিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। খুব শিগগিরই তাকে আটক করা হবে।.
এসএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।.
.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: