আব্দুল মালেক নিরব: দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হরতালে তেমন প্রভাব পড়েনি লক্ষ্মীপুর। জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় আঞ্চলিক যানবাহন চলাচল কিছুটা কম। ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। সকাল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিএনপি-জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীকে সড়কে দেখা যায়নি। পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী।.
.
বিভিন্ন সড়কে ছোট ও মাঝারি ধরনের সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও পিকআপে যাত্রী পরিবহন করছে। এ ছাড়া মালবাহী ট্রাক চলাচল আগের মতোই চলছে। শহরের উত্তর স্টেশন বাসস্ট্যান্ডে লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অভিমুখী বাসগুলো পার্কিংয়ে থাকতে দেখা গেলেও বিআরটিসির ঢাকামুখী বাসস্ট্যান্ড থেকে সড়কে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে।.
.
জেলা শহরসহ জেলার বিভিন্ন সড়কে অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে হরতালে সড়কে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া লক্ষ্মীপুর উত্তর তেমুহনী সহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিএনপি-জামায়াতকে হরতাল, অগ্নি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না বলে জানান তারা।.
.
লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু বকর সিদ্দিকী জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: