
শীতের তিব্রতা কমে গরম বাড়ার সাথে সাথে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ঘরে ঘরে বাড়ছে সর্দি, জ্বর ও কাশির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সব বয়সী মানুষ। অধিকাংশ মানুষই পাড়া-মহল্লার দোকান থেকে ওষুধ কিনে সেবন করছেন। কেউ কেউ হাসপাতালে যাচ্ছে।.
.
উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পাঠকপাড়া গ্রামের সবিরন বেগম বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি সর্দি, জ্বর ও কাশিতে ভুগছেন। এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসের দেওয়া ওষুধ সেবন করছেন।উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কলেজ শিক্ষার্থী অমলী হেম্ব্রম বলেন, হঠাৎ করে গত দুইদিন থেকে সর্দি, জ্বরের সাথে কাশি ও গলা ব্যাথা শুরু হয়েছে। লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ য়ে খাচ্ছেন।.
.
.
আলাদিপুর ইউনিয়নে গোকুল গ্রামের গৃহবধূ শ্যামলী রানী বলেন, তার চার বছরের শিশু সন্তান এক সপ্তাহ ধরে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওষুধ এনে খাওয়াচ্ছেন। এখন একটু সুস্থ হওয়ার দিকে। .
.
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক বলেন, এক ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণে লোকজন জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে জ্বর, সর্দি ও কাশি বেশি দিন স্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তিনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি মৌসুমি ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া তিনি মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি।.
.
.
ফুলবাড়ী পৌর এলাকার চকচকা, কাঁটাবাড়ী, গৌরীপাড়া, বারোকোনা, সুজাপুর গ্রামের বেশির বাড়ীতেই কেউ না কেউ জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত। আক্রান্তদের অধিকাংশই পাড়া-মহল্লার দোকান থেকে ওষুধ কিনে সেবন করছেন। কেউ কেউ আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা চিকিৎসকদের চেম্বারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।.
.
.
.
উপজেলার মাদিলাহাট এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সর্দি, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত বিভিন্ন বয়সী অর্ধশত রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে থাকছেন। যেগুলো জটিল মনে করছেন, তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।বুধবার (১২ মার্চ) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, বহির্বিভাগে রোগীর দীর্ঘ লাইন। হিমশিম খাচ্ছেন বহিঃ বিভাগের চিকিৎসা প্রদানকারি চিকিৎসক উপসহকারি মেডিকেল অফিসারগণ। আন্তঃবিভাগে শয্যা খালি নেই, রোগীতে ভর্তি।.
.
.
.
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বলেন, ফুলবাড়ী উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর, নবাবগঞ্জ, বিরামপুর ও চিরিরবন্দর উপজেলার কিছু অংশের মানুষ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শতাধিক রোগীর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে অন্তত অর্ধেকই সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত। তবে সাধারণ ওষুধে তিন-চার দিনে তারা সুস্থ হয়ে উঠছেন। . .
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: