সরকার দলে ছাত্র রাজনীতি প্রায় সবাই করে৷ কিন্তু রাজনীতির দুঃসময়ে, ক্রাইসিস মোমেন্ট, বিরোধী দলে আদর্শের সাথে যারা আপোষহীন, সংগ্রামে যারা সাহসী, রাজপথে মৃত্যুভয় উপেক্ষা করার মত যাদের মানসিক শক্তি ও সাহস থাকে তাদের সংখ্যা খুব কম। আপনি তাদের মাঝে একজন, ছাত্র জীবনের সোনালী মূহুর্ত গুলো উৎসর্গ করেছিলেন রাজনৈতিক ময়দানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে, আমাদের দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপার কর্মী হিসেবে।.
বিরোধী দলে ছাত্রলীগের রাজনীতি, তৎকালীন সরকার দলের নির্যাতন, হুমকি, ভয়ভীতি, এতকিছুর পরেও ছাত্রলীগ কে সুসংগঠিত করে কাজ করার বিনিময়ে প্রাপ্য মূল্যায়ন করা হয়নি উনার। তাই ছাত্র জীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে জীবন যুদ্ধের জন্য তৈরি করতে লাগলেন নিজেকে। মানবিক মনের অত্যাধিক মেধাবী এই মানুষটা পরপর ২ বার বিসিএসে সুপারিশ প্রাপ্ত হন। বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় সরকারি কর্মকর্তা হবে। বাবার জীবদ্দশায় এই সন্তান বাবার স্বপ্নপূরণ করলো।.
যার কাছে কেউ কোন দিন হেল্প চেয়ে ফিরে আসেনাই। আমার ব্যক্তিগত জীবন থেকে বলতে চাই, নিজের প্রয়োজনে খুব একটা বিরক্ত করিনি ভাইকে। রাজনীতি করার কারণে প্রায়শই বিভিন্ন লোকজন আমাকে বিভিন্ন আইনি সেবা, পুলিশের হেল্প এর জন্য ফোন দিতো। যেই, যখন কল দিয়েছে আমি সবসময়ই ভাইকে কল দিয়ে বলতাম ভাই এই কাজ টা একটু করে দেন। এই হেল্প টা লাগবে। উনি কোন দিন না করেন নাই। মাঝরাতেও উনি নিজে অনেক সমস্যা খুব সহজে সমাধান করে দিয়েছেন। এমন ভাই পাওয়া যেমন ভাগ্যের ব্যাপার, একই রকম এমন পুলিশ অফিসার পাওয়া ঐ এলাকার লোকজনের ভাগ্যের ব্যাপার।.
এই মানুষটার অনেক গল্পই অজানা। খুব কাছ থেকে পেয়েছি, আত্মার আত্মীয় আমার বড় ভাই৷ সেই জন্য অনেক কিছুই জানি। এলাকার দরিদ্র ও মেধাবী কত ছেলেমেয়ের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন তার হিসাব নাই। সম্বলহীন, দুঃস্থ ও আশ্রয়হীন কতশত মানুষের পাশে ছিলেন এইসব ছোট গল্পের শ্লোকে মহাকাব্য রচনা করা যেতো! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের খাতিরে অনেক বড় শিল্পপতি ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের সাথে ভালো সম্পর্ক। যাদের অনেকেই ভাইয়ের বড় ভাই, বন্ধু। এলাকা, এলাকার বাইরে যখনি কেউ হেল্প চেয়েছে, জীবন ধারণের জন্য চাকরি খুঁজেছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক বড় ভাইদের হেল্প নিয়ে শত শত ছেলেদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। কত শত ফ্যামিলি আনন্দে কেঁদেছে ইয়াত্তা নাই!.
মানবিক মনের এই মানুষটা পেশাগত দায়িত্বে ইস্পাত-দৃঢ়। অপরাধীদের জন্য মূর্তিমান আতংক। .
পেশাগত জীবনে বহু বার জীবনের রিস্ক নিয়ে দায়িত্ব পালন করা সুপার কপ, মাস্টারপিস পুলিশ কর্মকর্তা তিনি। হেফাজত ইসলাম ১৩ সালের ৫ মে ঢাকা শহর অচলায়তন করার জন্য ধ্বংসলীলা যখন শুরু করে। তখন তিনি ডিএমপিতে কর্মরত। ফ্রন্টলাইনে দাঁড়িয়ে সংবিধানের ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রের জানমালের নিরাপত্তার যে শপথ নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব শুরু করেছিলেন সেই আদেশ পালন করতে কাজ করে যান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। হাইওয়েতে ডিউটি করে বহু ডাকাত দল আটক, ক্লু লেস অনেক মামলার জট খোলেছেন।.
বাংলাদেশ পুলিশের গর্ব, জীবন্ত কিংবদন্তি, আমার ভাই, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব খোরশেদ আলম ভাই। আমার জীবনে আমার জন্মদাতা বাবা মা এর বাইরে একটা মানুষ কেই আমার অভিভাবক মানি, আমার শেষ আশ্রয়স্থল মানি। তিনি আমার ভাই খোরশেদ। আপনার মত ভালোবাসা, আপনার মত এমন বটবৃক্ষ হয়ে সবাইকে আগলে রাখার অসীম শক্তি আর কারো কাছে পাইনা। আপনার এই অদম্য শক্তি আর সাহস ও ভালোবাসা আমার পথচলার শক্তি। জীবনের গতিশীলতা পাই। পথচলার অনুপ্রেরণা।.
আমার জীবনে আপনার মূল্য আর ভালোবাসা কতখানি সেটা একটা স্ট্যাটাস দিয়ে প্রকাশ করার মত না। পরম শ্রদ্ধা আর আরাধ্য এর মানুষ আপনি ভাই। আপনার ভালোবাসার মূল্যে কোন দিন দিতে পারবো না। এটা সম্ভব ও না। তবে কথা দিচ্ছি ভাই, সারাজীবন আপনার ছোট ভাই, আপনার স্নেহের খোকন হয়েই থাকতে চাই। জীবনে যত প্রতিকূলতা, যত আনন্দ, হাসিখুশি আসুক সব কিছুর ভাগাভাগি করতে চাই আপনার সাথে।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: