• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

বিশ্বনাথের শ্রীমুখ নিয়ে ধূম্রজাল, ফেসবুকে প্রতিবাদের পোস্ট 


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ আগষ্ট, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:২৫ পিএম;
বিশ্বনাথের শ্রীমুখ নিয়ে ধূম্রজাল, ফেসবুকে প্রতিবাদের পোস্ট 
বিশ্বনাথের শ্রীমুখ নিয়ে ধূম্রজাল, ফেসবুকে প্রতিবাদের পোস্ট 

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নস্থ শ্রীমুখ গ্রামের তথ্য নিয়ে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ চলছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুমি দাতা পরিবার। ভুমিদাতা পরিবারের দাবী স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করে গণমাধ্যমে উপস্থাপন করছেন। এনিয়ে প্রকৃত সত্য তুলে ধরে ফেসবুকে বিস্তর বিবরণ পোস্টের মাধ্যমে আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় সংবাদ কর্মীগণ যেন ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেন না করেন।.

এব্যাপারে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পশ্চিম নোয়াগাঁও নিবাসী পীর সামছুল ইসলাম তোতা মিয়ার সাথে সরেজমিন সাক্ষাৎ করলে তিনি প্রকৃত ঘটনার বর্ণনা দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার বিশ্বনাথ প্রতিনিধির কাছে এভাবে তুলে ধরেন।.

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রীমুখ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা আমাদের সময়, বাংলাদেশ প্রতিদিন, মানব জমিন অনলাইন টিভি ইনফু হান্ট সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকৃত সত্য আড়াল করে যে সকল সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।.

তাদের সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে শ্রীমুখে বসবাসকারীগণ ১৯৬৪ সনে একজন হিন্দু ব্যাক্তির জমি ক্রয় করে তারা বসতী গড়েছেন। এসব তথ্য ভুল উল্লেখ করে পীর তোতা মিয়া বলেন, শ্রীমুখে বসবাসকারীগণ তাদের আত্মীয় এবং পৈতৃক সূত্রে দেওয়ান হাসন রাজার পুত্র একলিমুর রাজা হতে কুবুলিয়ত মুলে উক্ত ভুমির প্রকৃত মালিক হন পীর সামছুল ইসলাম তোতা মিয়ার পূর্ব পুরুষ (বাবা) পীর আব্দুল গণি। .

শ্রীমুখের বাসিন্দা পীর আব্দুল গণির ভগ্নিপতি মৃত আব্দুর রহমানের (তৎকালীন) উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের খাজাঞ্চি গাও গ্রামের বাড়িটি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়লে পীর আব্দুল গণি দলিল মূলে খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তেলিকুনা ও পশ্চিম নোয়াগাঁও পাশ্ববর্তী স্থানের বর্তমান শ্রীমুখ নামীয় গ্রামের ভুমি দান করেন ভগ্নিপতিকে। কিন্তু বর্তমান বাসিন্দা মৃত আব্দুর রহমান এর ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী আপ্তাব আলী ও তার উত্তরাধিকারীগণ মামার বাড়ী থেকে প্রাপ্ত সম্পদের অস্বীকার ও প্রকৃত সত্য বিকৃত করায় তারা হতাশ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। .

তাদের দাবি এ ভুমির মালিক কখনো কোন হিন্দু ধর্মের কেউ ছিলেন না এবং তারা ১৯৬৪ সনের আগে এই জমি তাদের ভগ্নিপতিকে দলিল মূলে দান করেছেন। এবং সর্বমোট ভুমির একটি অংশ এখনও তাদের নামে ও দখলে আছে।.

এছাড়া শ্রীমুখ নামকরণ ও এশিয়া মহাদেশের সব থেকে ছোট ও কম জনসংখ্যা বলে যেসব তথ্য গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে তাও সঠিক কিনা এ নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, খাজাঞ্চি ইউনিয়নে এরকম আরো দুটি গ্রাম রয়েছে যেটিতে একটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রামের নাম করণ আছে। তাহলে এটি কিভাবে এশিয়ার একমাত্র ছোট গ্রাম হয়। .

তোতা মিয়া আরো বলেন, উপজেলা বিশ্বনাথ, মৌজা নোয়াগাউ জে এল নং ৪০, খতিয়ান নং ৪২, ভূমির পরিমান ৬কেদার, রেকডী'য় ভূমির দাগ নং ৫৪৩, ৫৪৪,৫৪৫ /তে যেসকল ভুমি তা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। এই ৬কেদার হতে একটি অংশ বর্তমান বসতিগণের নামে দান করা হয়েছে। এবং শ্রীমুখের এই বাড়ীতে বর্তমানে যারা বসবাস করছেন তাদের পূর্বের ঠিকানা হল: মৃত আব্দুর রহমান,পিতা মৃত: জরিপ মামন্দ, গ্রাম: খাজাঞ্চি গাও,ডাক: পরগণা বাজার, ১ নং লামাকাজী ইউনিয়ন, উপজেলা: বিশ্বনাথ, জেলা সিলেট। মৃত আব্দুর রহমানের ৩ ছেলে (২ছেলে মৃত) ও ৬ মেয়ে। বর্তমান ছেলে আফতাব আলী সৌদি প্রবাসী তার ১ মেয়ে ২ বোন নিয়ে এই বাড়ীতে আছেন।.

মৃত আব্দুর রহমান হলেন পীর শাহ আব্দুল গনীর ভগ্নীপতি। এসব তথ্য উপস্থাপন করে পীর সামছুল ইসলাম তোতা মিয়া বলেন আমরা প্রকৃত ইতিহাসে বিশ্বাসী, যারা বিকৃত করছেন তারা যেন শুধরে নেন এই প্রত্যাশা তাদের।.

পীর সামছুল ইসলাম তোতা মিয়া আরো বলেন,  শ্রীমুখ নিয়ে তাদের কোন অন্তঃদন্ধ নেই। তারা এই গ্রামের উন্নয়ন চান, রাস্তা ঘাট সহ যে সকল উন্নয়ন থেকে তারা বঞ্চিত তাদের এসকল উন্নয়ন যেন তারা পায়। এ পর্যন্ত যে সলক সরকারি উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার যেন সঠিক বাস্তবায়ন হয়।. .

ডে-নাইট-নিউজ / বিশ্বনাথ সিলেট প্রতিনিধি

তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ