• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

মোবাইলের ব্যবহারে যুব সমাজ মারাত্মক আসক্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৩১ এএম;
মোবাইলের ব্যবহারে যুব সমাজ মারাত্মক আসক্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ
মোবাইলের ব্যবহারে যুব সমাজ মারাত্মক আসক্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ

পৃথিবী প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সবার সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত থেকে উন্নততর জীবন যাত্রার দিকে।সর্বক্ষেত্রে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।উন্নত থেকে উন্নততর ব্যবস্থা।তা অবশ্যই অনেকক্ষেত্রে মঙ্গলজনক।হচ্ছে পরিবর্তন, পরিবর্ধন। .

তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, উন্নত হওয়াতে অনেক ক্ষেত্রে অভাবনীয়, ঈর্ষনীয় ব্যবহার বৃদ্ধি, প্রয়োগ পদ্ধতি আবিষ্কৃতিতে গর্ব করার রয়েছে ব্যাপার স্যাপার।আজ থেকে দুই তিন দশক আগে বাংলাদেশকে বলা হত নদী মাতৃক দেশ। কিন্তু বর্তমান অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়, হচ্ছে বাংলাদেশ বাঁধ বা সডক মাতৃক দেশ।.

কারন নদনদী ভরাট, দখল,স্থাপনা ইত্যাদি তৈরীর ফলে নদী গেছে ভরাট হয়ে, অনেক স্থানে নদী হয়েছে খালে রুপান্তরিত,অনেক নদী হয়েছে বিলীন।এ প্রজন্ম জানারই কোন সুযোগ নেই যে এখানে এক সময় ছিল খরস্রোতা নদী বহমান।যাক আমার আজকের নিবন্ধের মুল বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করতে চাই। আমার আজকের লক্ষ্য নদনদী নয়। সেটা অন্য সময় অন্য ভাবে অন্যত্র উপস্থাপন করার মনমানসিকতা রয়েছে, থাকল। আজকের বিষয় হচ্ছে মোবাইল নিয়ে কিছু কথা বলার।.

যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক সময় ছিল পায়ে হেঁটে একস্থান থেকে অন্য স্থানের সহিত যোগাযোগ করার ক্ষেত্র। অপরদিকে দেশবিদেশে বিভিন্ন যোগাযোগের একমাত্র বাহন ছিল পত্র।কিন্তু মোবাইল আবিষ্কৃত হবার ফলে সারা পৃথিবী ব্যাপী এখন অতি সহজেই এবং অতি অল্প সময়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশের সহিত যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাহন হিসেবে রয়েছে মোবাইল ব্যবহার প্রচলিত। অথবা যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহজ লভ্য বাহনের স্থান দখল করে নিয়েছে একচেটিয়া ভাবে মোবাইল।অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।কিন্তু আমরা সবাই কম বেশি জানি, বিজ্ঞান দিয়েছে অনেক, কেড়ে নিয়েছে তার অধিকার.

উপকার যেমন হচ্ছে, তেমনি অপকারের ক্ষেত্র রয়েছে অনেক।মোবাইল শিক্ষা দিচ্ছে মিথ্যা বলার, নীতি নৈতিকতা বিসর্জনের। বাড়ি থেকে অন্যকে বলা হচ্ছে শহরে, কাছে থেকে বলা হচ্ছে দুরে। (সর্বক্ষেত্রে নয়)সবচেয়ে যা দিচ্ছে বর্তমান প্রজন্মকে- তা হচ্ছে মোবাইলে খেলার নামে আসক্তি, মোহগ্রস্থ নেশায় বিভোরতা।মোবাইল ব্যবহার বা তার প্রচলনে যুব সমাজ মানব জীবনের অন্যান্য স্তরের ন্যায় সমাজ জীবনেও যে বিষ্ময়কর চমৎকারিক পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে তা উদ্বেগজনক।আমি এখানে সংক্ষেপে দুএকটি উদাহরণ দেবার চেষ্টা করছি যা সঠিক বাস্তবতা ভিত্তিক।.

যুব সমাজ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ধাবিত হচ্ছে অনৈতিক, লেখাপড়ায় অনগ্রসর দারুণ আসক্তিতে নিমজ্জিত।গ্রামে-গঞ্জে,হাটে-মাঠে সর্বত্র মোবাইল নিয়ে খেলার ধান্ধায় নিমজ্জিত।আমি সেদিন অনতিদুর থেকে স্বচক্ষে অবলোকন করলাম। একটি ছেলে হেঁটে হেঁটে মোবাইল টিপছে আর রাস্তা ধরে হাঁটছে।মোবাইলের প্রতি এতই আকৃষ্টতা বা নিমগ্ন তার পিতা রাস্তা ধরে বিপরীত দিক থেকে আসছেন।এসেই পিতার সাথে ধাক্কা।ব্যাপারটি আপনারা কি অতি সাধারণ ভাবে মেনে নিচ্ছেন?আমার কাছে অত্যন্ত লজ্জাজনক মনে হয়েছে।বাবা, চাচা, বড় ভাই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। ছেলে রাস্তার কিনারে বসে মোবাইল টিপছেকে ডে-নাইট-নিউজ / মিজানুর রহমান মিজান

তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ