• ঢাকা
  • রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

সোনালী অতীতের এ সকল দৃশ্য গেছে হারিয়ে


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৩৫ পিএম;
সোনালী অতীতের এ সকল দৃশ্য গেছে হারিয়ে
সোনালী অতীতের এ সকল দৃশ্য গেছে হারিয়ে
বাংলাদেশের সোনালী অতীতের অনেক ঐতিহ্য,ইতিহাস,সংস্কৃতি, কর্মকান্ড গেছে হারিয়ে বা বিলুপ্ত হয়ে।যা ছিলো তখনকার সময়ে অত্যধিক জনপ্রিয়তার শীর্ষে।আমরা যারা আছি বেঁচে বর্তে বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে,জীবনের তাগিদে চলাফেরার পথে অনেক জিনিষ দেখে মনে পড়ে স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠে সে সকল দৃশ্য।তখন অনেক ভাবনায় ফেলে দেয় আমাদেরকে।আমরা শুধু আফসোসই করে থাকি বা মনে পড়ে অতিদ্রুত।কি করলাম,দেখলাম।আর এখন কি দেখছি,করছি।ভবিষ্যতে আরো কতকিছু হবে,দেখা যাবে।সেগুলি দেখার বা করার আমাদের করনীয় তালিকার অন্তর্ভুক্ত হবে না,হবার কথা নয়।কারন আমাদের পূর্বপুরুষরা অনেক কিছু করেছেন,দেখেছেন।
 
যা আজ হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যের দৃশ্যমানের বাহিরে।আমরা যখন ছবিটির মত বয়সের ছিলাম।আমরা ও বড়দের অনুকরণ,অনুসরণে তাঁদের কাছে অনেক আকারে প্রকারে বায়না ধরেছি,উদ্ধার করেছি।অভিভাবকরা শিশুদের আব্দার রক্ষা করতেন সচেতনতার সহিত বা আনন্দদানের উদ্দেশ্যে।আমাদের আব্দার পূরণ করতে অভিভাবকরা কষ্ট হলেও করে দিয়েছেন।যা বলছিলাম-এক সময় বিভিন্ন প্রকার দ্রব্য সামগ্রী বহনের হাতিয়ার ছিলো চিকা।যা তার অথবা জালিবেতের (সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় ব্যবহৃত হতো) তৈরী ছিলো।এটাকে বলা হত ভার বহন করা।আজ তা গেছে হারিয়ে,বনবাসে,বিলুপ্ত হয়ে।নিত্য নুতন আবিষ্কারের কাছে হার মেনে, পরাজয় বরণ করে।গতদিন আমি এক জায়গায় যাচ্ছি। হঠাৎ দৃশ্যটি পড়ে আমার সম্মুখে।সাথে সাথে তা ক্যামেরা বন্দি করে ফেলি এবং শিশুটির সাথে থাকা বয়োবৃদ্ধ মহিলার সাথে আগ্রহ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি।
 
শিশুটির সাথে ছিলেন তার নানি।শিশুটি বাবার ভার বহনের দৃশ্য দেখে বায়না ধরে তাকে তা বানিয়ে বা তৈরী করে দিতে।সুতরাং নাতির আব্দার রক্ষার্থে এটি তৈরী করে নানি দিয়েছেন।দেখলাম নাতির সাথে নানিও অনেক আনন্দিত জিনিষটি তৈরী করে দিতে পেরে এবং শিশুটি ও আনন্দের অংশীদার হয়ে গর্বিত। আমার নানি তৈরী করে দিয়েছেন।এখন নানিকে শিশুটি বলেছে তার পিতা ধান কাটায় গেছেনতাকে পিতা নেননি সাথে করে। তাই নানিকে সাথে নিয়ে শিশুটি আনন্দে আত্মহারা হয়ে রাস্তা ধরে চলেছে পিতার ধান কাটার স্থানে ভার বহন করে ধান নিয়ে আসার আকুলতায়।নানি যেমন আনন্দিত নাতিতে চিকা তৈরী করে দিয়ে,অনুরুপ নাতি ও আনন্দিত,গর্বিত নানিকে দিয়ে তার শখ পুরণার্থে।সাথে নাতি ছোট ছোট দুটি টুকরী বা উডা (সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় ব্যবহৃত বা নামকরন)।টুকরীগুলো ও নানি তৈরী করে দিয়েছেন শিশুটির উপযোগি করে।
.

ডে-নাইট-নিউজ / মিজানুর রহমান

সম্পাদকীয় বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ