আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বাংলা গানের কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের তৃতীয় প্রয়াণ দিবস। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সংগীতপ্রেমীদের মাতিয়ে রেখে ২০২০ সালের ৬ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। .
আজ তার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। এ দিনটিতে পারিবারিকভাবে প্রার্থনাসহ বিভিন্নভাবে স্মরণ করা হবে বাংলাদেশের এই প্লে-ব্যাক সম্রাটকে।.
মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ সব অনুভূতির গানই তার কণ্ঠে পেয়েছে অনন্য মাত্রা। তার শত শত কালজয়ী গান এখনো মানুষের মুখে মুখে। এরমধ্যে ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুটাইলে ঠুস’, ‘কারে দেখাব মনের দুঃখ গো’, ‘তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জীবন’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’,‘এক জনমের ভালোবেসে ভরবে না মন, ভরবে না’সহ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান আজও তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।.
১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বরে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এন্ড্রু কিশোরের বাবা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ এবং মা মিনু বাড়ৈ রাজশাহী মহানগরীর বুলনপুর মিশন গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। তার মা ছিলেন সংগীত অনুরাগী। ব্যক্তিগত জীবনে লিপিকা এন্ড্রু ইতির সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন এন্ড্রু কিশোর। এ দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।.
এন্ড্রু কিশোর চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শুরু করেন ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে। ‘বড় ভালো লোক ছিল’ (১৯৮২) চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এন্ড্রু কিশোর। .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: