
একমাস পূর্বে সিভিল সার্জনের নির্দেশে এ্যাম্বুলেন্স চালকের অন্যত্র বদলি, এখনো দেয়া হয়নি নতুন চালক। ফলে পলিথিন কাগজে মোড়ানো অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কোণে পড়ে আছে সচল একমাত্র এ্যাম্বুলেন্সটি। ফলে মুমূর্ষু কোনো রোগীকে হাসপাতালে নেয়া কিংবা উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র প্রেরণ করা হলে বিপাকে পড়ছেন রোগীর স্বজনরা। বাড়তি সরকারি এ্যাম্বুলেন্স সেবা বঞ্চিত হয়ে চড়ামূল্যে ভাড়া নিতে হচ্ছে ব্যক্তিমালিকানাধিন এ্যাম্বুলেন্স। এমনি চিত্র দেখা মিলেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।.
.
.
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ দিনাজপুর সিভিল সার্জনের নির্দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক মোকলেছার রহমানকে ফুলবাড়ী থেকে বদলী করে জেলার খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির এ্যাম্বুলেন্স চালককে বদলি করে খানসামায় নেওয়া হলে, একমাস পেরিয়ে গেলেও এখানে নিয়োগ দেয়া হয়নি অন্য কোন চালককে। ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন এ্যাম্বুলেন্সটি একপ্রকার পরিত্যক্ত অবস্থায় গেরেজে পড়ে রয়েছে।.
.
.
উপজেলার বেতদীঘি ইউনিয়নের খরমপুর এলাকার সাইফুল ইসলাম বাতেন বলেন, তার পরিবারের অসুস্থ এক নারী রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স খোঁজ করা হলে, জানানো হয় এ্যাম্বুলেন্স আছে, চালক নেই। তাই সরকারি এ্যাম্বুলেন্স যাবে না। এ জন্য ব্যক্তি বিশেষের এ্যাম্বুলেন্সে রোগীকে নিয়ে যেতে হয়েছে। সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে যেসব সুযোগ সুবিধা থাকে ব্যক্তি বিশেষের এ্যাম্বুলেন্সে সেগুলো থাকে না। আবার অর্থও বেশি খরচ হয়।.
.
.
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বলেন, ফুলবাড়ীতে অন্য কোনো এ্যাম্বুলেন্স চালককে পদায়ন না করেই এখানকার চালককে গত ৬ মার্চ বদলি করে খানসামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। তাই চালকের অভাবে নতুন এ্যাম্বুলেন্সটি গেরেজে পড়ে রয়েছে। এতে করে রোগীরা সরকারি এ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চালকের জন্য সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে, তবে কবে চালক আসবে তা বলা মুশকিল। .
. .
ডে-নাইট-নিউজ / ফুলবাড়ী প্রতিনিধি
আপনার মতামত লিখুন: