“বন্দরের ৩৮২ কনটেইনার পচা পণ্য ধ্বংস করা হবে” এই প্রসঙ্গে কিছু না লিখে থাকতে পারলাম না। আমরা গরীব দেশের বাসিন্দা ছোট্র একটি ভূখন্ড স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ১৮ কোটি মানুষ সঠিকভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না। তবুও সত্যি দুঃখ জনক সংবাদটি আমাদেরকে দারুণ ভাবে ব্যাথিত করছে। কাস্টম হাউসের উদ্যোগে আমদানির পর বন্দর থেকে খালাস না নেওয়া ৩৮২ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করা হবে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে এর মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, আদা, আপেল, ড্রাগন ফল, কমলা, আঙুর, হিমায়িত মাছ, মহিষের মাংস, মাছের খাদ্য, লবণ, রসুন, সানফ্লাওয়ার অয়েল, কফি ইত্যাদি। উদ্দেশ্যে একটাই এর ফলে বন্দরের মূল্যবান জায়গা খালি হবে। আমার ছোট্ট চিন্তা ভাবনায় এটা সত্যিকার অর্থে দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কেননা এই পণ্য গুলো সময় মত বন্দর থেকে খালাস হলে দেশে পণ্যের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হতো পাশাপাশি ব্যবসায়িরা বিরাট লোকসান থেকে রক্ষা পেতো। এই ভাবে ব্যবসায়িকরা লসের মুখে পড়লে পণ্য আমদানী করা বন্ধ করে দিতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। .
দেশ ও জনগণের সার্বিক চাহিদা মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালনা করে জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বন্দরে পচনশীল মালামাল আমদানি করা হলে যতদ্রুত মালামাল বন্দর থেকে অগ্রাধিকার তালিকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সুনিদিষ্ট পচনশীল মালামালের মান সঠিক থাকা অবস্থায় নিলামে উঠাতে হবে। যদি সামান্য বিলম্ব হয় তাহলে এই পণ্য ধংস না করে সময় মত গরীব মানুষের মধ্যে বিলি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হয় বলে আমি মনে করি। কেন পণ্য খালাস করতে দেরি হয় সেজন্য, পচনশীল মালামাল নষ্টের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোরতর দৃষ্টান্তমূলক কঠোরতর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। শত শত কোটি টাকার পচনশীল মালামাল নষ্ট হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা এবং পরবর্তীতে পচনশীল মালামাল নষ্ট না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কেননা বাংলাদেশ গরীব একটি দেশে আমদানি কৃত মালামাল যখন কাস্টমস দিয়ে বের করা হলে ব্যবসায়ীর লস হবে তাই সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার মধ্যে পচনশীল মালামাল বন্দর থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাস করতে হবে নচেৎ পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিলাম নচেৎ গরীব মানুষের মধ্যে বিলি করে দেওয়ার সুব্যবস্থা করতে হবে। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনায় আনতে বিশেষভাবে কর্তৃপক্ষের প্রতি সবিনয় বিনীত অনুরোধ করছি। . .
ডে-নাইট-নিউজ / মোঃ ফরিদুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন: