ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ তুচ্ছ ঘটনাকে পুঁজি করে এলাকায় সামাজিক দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাতগাছি গ্রামে বিএনপি সমর্থিত দুই সামাজিক দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের ৩০ বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়। আগুন দেওয়া হয় গোয়াল ঘরে। সংঘর্ষে নারীসহ ২৫ জন আহত হন। সরজিমন পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী জানান, সাতগাছী মসজিদে গত শুক্রবার মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক হাকিম মোল্যা বক্তব্য রাখেন। সেই বক্তব্যে মসজিদ কমিটির সভাপতি মতলেব মোল্যার নাতি ছেলের সূন্নতে খৎনার অনুষ্ঠান করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। .
.
সাধারণ সম্পাদকের এ কথার প্রতিবাদ করেন সভাপতি মতলেব মোল্যা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে মতলেব মোল্যা ও হাকিম মোল্যার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তানজু (৩৫), সম্পা খাতুন (৩০), বশির মোল্যা (৪০), জাফর মোল্যা (৩০), রুপচাঁদ (৩৫) জামেলা খাতুন (৬৫), রোকনুজ্জামান (৩৫), সুজন(৩৫), আমিরুল (২৫), সাগর (২৭), সাহেব আলী (৫০), আক্তার হোসেন (২৫), আকবর আলী শেখ (৬০), আব্দুল হাকিম (৭৫), রাশেদ আলী (২৫) সহ ২৫ ব্যক্তি আহত হন। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার হামলা পাল্টা হামলার জের ধরে শনিবার সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি মতলেব মোল্যা ও সাধারন সম্পাদক হাকিম মোল্যার সমর্থকরা আবারো দফায় দফায় একে অপরের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালাতে থাকে। .
.
হামলায় কোরবান আলী, শুকুর আলী, এরশাদ আলী, দুলাল, রজব আলী, আজিবর রহমান, তৈমুর মোল্যা, কাদের মোল্যা, জালাল মেল্যা, জান্নাত আলী, ফিরোজ, বাবু, মিলন, সিদ্দিক শেখ, নাজির আলী সহ ৩০ বাড়ি ভাংচুর করা হয়। এদিকে শৈলকুপা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড হুমায়ন বাবর ফিরোজ অভিযোগ করেছেন, বিএনপির কাঁধে ভর করে সাতগাছি এলাকার কতিপয় আ’লীগ নেতা এই হামলা ও ভাংচুরের নেতৃত্ব দেন। এই মারামারির সঙ্গে দলীয় কোন্দল নয় বরং সামাজিক দলাদলি রয়েছে। এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান বলেন, বিএনপি সমর্থিত দুইটি সামাজি দল তুচ্ছ ঘটনা দিয়ে সাতগাছি গ্রামে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শনিবার সকালে কিছু বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।.
. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: