• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

সোনালী অতীতের ঈদের স্মৃতি


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:২৭ পিএম;
সোনালী অতীতের,  ঈদের স্মৃতি
সোনালী অতীতের ঈদের স্মৃতি

সোনালী অতীতের ঈদের স্মৃতি
মিজানুর রহমান মিজান
.


আমার জন্ম সাল ১৯৬২খ্রিস্টাব্দের ১৫ অক্টোবর।সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের জয়নগর (নোয়াপাড়া) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম।পিতা এক সময়ের সাড়া জাগানো মরমী মরহুম বাউল চান মিয়ার এক মাত্র পুত্র সন্তান।জন্ম থেকে এ পর্যন্ত আমি গ্রামের বাডিতেই মুসলমানদের প্রতি বৎসর দু’টি উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছি।মধ্য বয়সে মধ্যপ্রাচ্যের পবিত্র ভুমি সৌদি আরবের জেদ্দা নগরীতে কাঠিয়েছি ১৬টি বসন্ত।তারপর আবারো গ্রামের বাড়িতেই বসবাস করে আসছি।বর্তমান গ্রামের দৃশ্যে আর অতীতের দৃশ্যে বিরাট তফাৎ।যাকে বলা যায় দিন ও রাতের ফারাক।সিয়াম সাধনের দীর্ঘ এক মাস পর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উৎসব পালন করে আসছি।কিন্তু বাংলাদেশ একটি ষড়ঋতুর দেশ হিসেবে ঋতুভেদে অনেক পার্থক্য ও তারতম্য পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।বর্ষার সময়ে ঈদ উদযাপন হলে কাদা মাটি,পানি ভেঙ্গে ঈদগাহে যেতে হত। কোন প্রকার সুনির্দিষ্ট পাকা অথবা কাচা রাস্তা ছিল না।আশ্বিন-কার্তিক মাসে ঈদ উৎসব হলে কর্দমাক্ত পায়ে চলার রাস্তা নতুবা ক্ষেতের আইল দিয়ে হেঁটে হেঁটে ঈদগাহের পানে ছুটে যেতাম।শুষ্ক মৌসুমে ঈদ হলে হাওর বা বন্দের মাঝ দিয়ে আড়াআড়ি বা কোনাকোনি ঈদগাহে যেতাম।.

 .

 .

আমাদের এলাকায় সেই ষাট থেকে প্রায় আশির দশক অবদি কোন পাকা রাস্তা ছিলো না বা গাড়ি চলাচলের ব্যবস্তা ছিলো না।আমরা সে সময় বিশ্বনাথ থানা সদরে পায়ে হেটেঁ যেতাম বা যেতে হত।আর সিলেট শহরে যেতে হলে খাজাঞ্চি রেলস্টেশন থেকে সিলেট শহরে যাবার একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্তা ছিলো।সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে  (খাজাঞ্চি)মাকুন্দা নদী দিয়ে লঞ্চ চলাচল শুরু হলে বর্ষার মৌসুমে সিলেট শহরে যাবার রাস্তা ছিল।নতুবা লঞ্চ বা ট্রেন (সিলেট-ছাতক) মিস হলেই পায়ে হেটেঁ সিলেট শহরে যেতে হত।আমাদের এলাকার গ্রাম সমুহের মুরব্বিয়ানদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ,সৌভ্রাতৃত্ববোধ,সহমর্মিতা কতটুকু প্রবল ছিলো তা অকল্পনীয়।ছোটরা মুরব্বিয়ানদের সম্মুখে যেতে অনেক সময় ভয় পেতেন কখন জানি কোন প্রকার বেয়াদবী হয়ে যায় মুরব্বিয়ানদের সাথে।এ পরিমাণ আন্তরিকতা পরিলক্ষিত হতো,মনে হত একই পরিবারভুক্ত সদস্যের মত।বড়রা যেমন সম্মান পেতেন,তেমন ছোটদের প্রতি ছিল অতুলনীয় আদর,সোহাগ,মমত্ববোধ ও মান্যতা।কে কোন গ্রামের সেটা অনেক সময় বিবেচনা করা হতো না।সকলেরই একই ভাব ছিলো মুরব্বিয়ান মুরব্বিয়ানই।দুটি ঈদকেই সমার্থক ভাবা হত।সে সময় ঈদ উৎসবকে গ্রামের প্রতিটি গৃহে পুত-পবিত্র খুশির আমেজ বিদ্যমান থাকতো।.

 .

প্রতি ঈদের পূর্ব রাত্রি শিশু-কিশোর,যুবক নির্ঘোম কাটাতেন কার আগে কে গোসল করবেন।যিনি সবার আগে গোসল সারতেন,অনেকদিন বলাবলির একটি বিষয় হয়ে দাড়াতো বিজয়ীর তালিকায় থাকার।হোক শীত,গ্রীষ্ম,বর্ষা।তখন গ্রামে বিদ্যুতের ব্যবহার ছিলো না বা আসে নাই।গ্রামের সৌখিন ও অভিজাত শ্রেণির লোকেরা কাপড়ের ইস্ত্রি লোহার তৈরি গরম করে নিতেন পোড়া কাঠের আঙ্গারা জ্বালিয়ে ও ভাতের ফেন কাপড়ে দিয়ে ইস্ত্রির কাজ সেরে নিতেন।তার সংখ্যা ছিলো নিতান্তই কম।অনেকে ঈদের দিনে পরিধানের নিমিত্তে কাপড় সুন্দর পরিপাটি করে ভাঁজ করে নিতেন এবং তা কয়েকদিন বালিশের নিচে রেখে ইস্ত্রির কাজ সেরে নিতেন।মুরব্বিয়ানরা সাধারণত সাদা পোষাক পরিধান করতেন অধিক সংখ্যক মানুষ।শিশু কিশোর যুব সমাজ ব্যবহার করতেন সাদার সাথে রং বেরংঙের হরেক ডিজাইনের শার্ট লুঙ্গি।তখনও পেন্টের অবাধ ব্যবহার প্রচলিত হয়নি।.

 .

 .


গ্রামের ঘরে ঘরে ঈদের দুই তিন দিন পূর্ব থেকে শুরু হতো গাইল-ছিয়া সহযোগে চাউলের গুড়ি তৈরীর হিড়িক।দুরুম দুরুম শব্দের সে কি ঝংকার।এ জাতীয় শব্দ শুনেই অনুমিত হতো চাউলের গুডি কোটার কথা।সন্দেশ,পিঠা তৈরীর উপকরণ হিসেবে।কি যে নির্মল আনন্দ ছিল সবার মনে তা ভাষায় প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।মা,চাচী ডাকছেন শ্রেণি বিভেদ ভুলে একে অন্যের সন্তানকে এস, কিছু খেয়ে যাও,নিয়ে যাও।এই যে আন্তরিকতা ছিল হার্দিক কৃত্রিমতা বর্জিত।যা আজ কল্পনা করাই যায় না বা দৃশ্যমান হয়না মোটেই।রমজান এলে সম্ভাব্য দিনে বিকাল বেলা প্রতি গ্রামের মানুষ সন্ধ্যায় সমবেত হতেন চাঁদ দেখার নিমিত্তে।দল বেধেঁ পশ্চিম আকাশের পানে চেয়ে থাকতেন।কোথাও কারো দৃষ্টি গোচরিভুত চাঁদ হলে “আল্লাহু আকবার”ধ্বনিতে মুখরিত করে তুলতেন চারদিক।.

 .

গ্রামের মেয়েরা এ “আল্লাহু আকবার” ধ্বনি শুনলেই ধরে নিতেন আগামী কাল থেকে রমজান শুরু।আর বর্ষার কারনে চাঁদ দেখা না গেলে,সিলেট থেকে কেহ এসে বললেই চাঁদ দেখার খবর জানালে ঘরে ঘরে শুরু হত ঈদ উদযাপনের মহোৎসব।কোন কোন বৎসর চাঁদ দেখার বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে ত্রিশের পরিবর্তে উনত্রিশ বা একত্রিশ রমজান ও পালিত হত।সে সময় ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে প্রাণ ও প্রাণবন্ততায় ভরপুর একটি দিনের আগমন।ঈদের চার/পাঁচ দিন পূর্ব থেকে মা,চাচী,বোনেরা খুবই ব্যস্ততম দিন যাপন করতেন ঘর-দোয়ার পরিস্কার,কাপড়-চোপড় ধৌতকরণ কাজে।শেষে সন্দেশ,টিঠা পুলি তৈরীর কাজ।দিনরাত অবিরাম কাজ আর কাজ।কিন্তু এ কাজে পরিশ্রান্ত হলেও তা ধর্তব্যে নিতেন না কেহ আনন্দের আতিশয্যে।সকলেরই ভাব ছিল,থাকতো আনন্দের নির্মলতা।গ্রামে সে সময় এতো অট্রালিকা ছিলো না,ছিল না প্রাচুর্য্।মানুষে মানুষে ছিল অকৃত্রিম আদর,সোহাগ, স্নেহ-ভালবাসা,পারস্পরিক বিনম্র শ্রদ্ধাবোধ।ঈদ এলেই চাই নুতন জামা কাপড়।তবে এখনকার মত এতো বৈচিত্র্যময়তায় ছিল না।নুতনের মধ্যে যে কোন একটি তা টুপি,গেঞ্জি,লুঙ্গি বা শার্ট হলেই হল।নুতন হলেই সবাই থাকতেন সন্তুষ্ট।গ্রামের ধনীরা তাদের ছেলেমেয়েদের যার যার সামর্থ অনুযায়ী কাপড় কিনে দিতেন।.

 .

 .


 রমজানে সেহরী খাওয়ার ব্যাপারে ছিল মজারদার বিষয়।মধ্য রাতে বয়স্করা উঠে উঠানে দাড়িয়ে লক্ষ্য করতেন তারা বা নক্ষত্ররাজির অবস্থান।সেহরী খাবার সময় নির্ধারনের জন্য তারকা র অবস্থানের উপর নির্ভরশীল ও সম্পূর্ণ অনুমান নির্ভর থাকতেন সকলেই।ছিল না ঘড়ি,ছিল না মসজিদে মাইকের ব্যবহার।বয়স্কদের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং নিজ নিজ অনুমানে সেহরী খেতে শুরু করতেন।ঈদের নামাজের জামাত শেষে করতাম একে অন্যের সাথে কোলাকোলি।মুরব্বিয়ানদের সাথে চলত শুভেচ্ছা ও সালাম বিনিময়।কৃত্রিমতা কোথাও দেখা যেত না।.

 .

 .

ছিল হৃদ্যতা,আন্তরিকতা।ছিলাম সবাই মুক্ত বিহঙ্গের মতো স্বাধীন।কাদামাটিতে ও ছিল আনন্দ আর আনন্দ।ঈদের সারাদিন ঘুরতাম এবাড়ি ওবাড়ি অলিখিত নৈমিত্তিক বিষয় ভেবে।ইফতারির সময় নির্ধারিত হত মসজিদে আজানের ধ্বনি টিনের চোঙায় ফুকারিত হলে।শব্দ হত অতি ক্ষীণ।ইফতারিতে বর্তমানের মত এতো জাঁকজমক ছিল না।অনেকে শুধুমাত্র খেজুর,খিচুডি ও ডালের বডাই খেতেন।কোন কোন পরিবারে শুধু অল্প খিচুডিতেই।ফলমুলের পরিমাণ অভিজাত ও ধনাঢ্য পরিবারে পরিলক্ষিত হত হাতে গুণা,স্বল্প পরিমাণে।.

 .


রমজানের পর এক শুক্রবারে গ্রামের সকল মুরব্বিয়ান একত্রিত হতেন মসজিদের ঘাটে বা মসজিদ প্রাঙ্গনে।উদ্দেশ্য গ্রামের কার ছেলে রোজার রাখার উপযোগি অথচ রোজা রাখেননি।এ সকল যুবকদের ব্যাপারে মুরব্বিয়ান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ খোজ খবর নিতেন,অনুসন্ধান চালিয়ে বের করতেন।সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যাদেরকে পাওয়া যেত রোজা রাখেননি।তাদের বিষয়ে বিস্তর আলাপ আলোচনার মাধ্যমে শাস্তি স্বরুপ কোন কোন বৎসর কলা গাছের খন্ডাংশ বহন করতে হত।কোন কোন বৎসর জুতা হাতে নিয়ে গ্রামময় বা মসজিদের প্রাঙ্গনে চক্কর দিতে হত,আবার তওবা ও পড়ানো হত মসজিদের ইমাম সাহেবকে দিয়ে।এটা কোন নিছক ঘটনা নয়,শুধু মাত্র শাস্তির জন্য ও নয়।অথবা কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নয়।তা ছিল সে সময়ের গ্রামের বা গ্রামীণ সমাজে সামাজিক মুল্যবোধকে টিকিয়ে রাখার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্বরুপ।এ সকল বিষয়ের তাৎপর্য্ সে সময় পুরো হৃদয়াঙ্গম করতে না পারলে ও আজ পরিণত বয়সে এসে ভাবি আমাদের মুরব্বিয়ানরা সামাজিক মুল্যবোধ ও অবক্ষয় রোধের নিমিত্তে কেন এ সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন।এগুলোর মুল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল গ্রামের নিজস্ব উদ্যোগে অন্যায়,অবিচার রোধ করা,নিয়মতান্ত্রিকতা বজায় রাখা,শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পরিবেশ সৃষ্টির উপলক্ষ।তৎকালিন সময়ে গ্রামের যে সকল মুরব্বিয়ান এ সব বিষয়ে সজাগ, সচেতন ও নিয়মতান্ত্রিকতা পরিচালনা করে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল সমাজ বিনির্মাণে অবদান রেখে গেছেন,তাঁদের অবদানের কথা আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি নিরন্তর।.

 .

বর্তমানে এ সকল বিষয় অনেকের নিকট হাস্যস্পদ হতে পারে।কিন্ত একটু সচেতনতার সহিত বিচার বিশ্লেষণ করলে সহজেই বেরিয়ে আসবে আজকের সমাজ ব্যবস্তায় এতো উন্নয়ন, উন্নতি হওয়া সত্ত্বে ও কেন সামাজিক মুল্যবোধ,সচেতনতা ও মনুষত্ববোধ এর অভাব প্রকট।আগেকার দিনে গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাঁটলে ধুমপান,উচ্চস্বরে গান গাওয়া বা কোন যন্ত্র বাজানোর ক্ষেত্রে একটি অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বজায় ছিল।এ সকল বিষয়ের জন্য পৃথক ভাবে কোন আইন প্রয়োগ করতে হত না।সমাজ, সামাজিকতার, রীতি-নীতির অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে সকলেই নিয়ম বলে মান্য করতেন,মানতে বাধ্য ছিলেন।সুতরাং আজকের সামাজিকতায় ও নিয়মনীতিতে কত পার্থক্য,ফারাক তা অতি সহজেই যে কেহ অনুমান,অনুমেয় করতে সক্ষম হবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।আজকের মত বৈদ্যুতিক আলোর এতো ঝলকানি না থাকলেও প্রদীপের মিট মিট আলোয় তখনকার গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্তায় কাঠামোগত সুশান্তির পরশ অত্যন্ত দৃঢ়,মজবুত ও সুশৃঙ্খল শক্তিতে ছিল বলিয়ান।রাষ্ট্রীয় মদদবিহীন শুধু গ্রামের মুরব্বিয়ানদের মাধ্যমে গ্রামে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, অন্যায় প্রতিরোধে ঐক্য,একতাবদ্ধতা ছিল মুল হাতিয়ার।.

 .


আজ গ্রামে সকল বিষয়ে কৃত্রিমতা বিরাজমান।মানবিক গুণাবলী প্রকট ভাবে অনুপস্থিত।প্রাচুর্য্,যান্ত্রিকতা ও কৃত্রিমতা গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থাকে অনেক দুরের বাসিন্দা হিসাবে কাছে না টেনে দুরে সরিয়ে দিয়েছে।যান্ত্রিকজীবন যাপনে আমরা হয়ে পড়েছি অভ্যস্ত।আজ মোটর সাইকেল,সিএনজি হাঁকিয়ে ঈদগাহে যাই।এটাকে করে নিয়েছি গলার মালা ফ্যাশন রুপে।ঘরে তৈরী মিস্টান্ন না খেয়ে অভিজাত ও ফাস্টফুডে নিজেকে দিয়েছি আপামস্তক ডুবিয়ে।কিন্তু কি খাচ্ছি আমরা এসবের নামে খাদ্য না অখাদ্য।তা ভাবতে হবে আমাদেরকে সচেতনতার ও আন্তরিকতার সহিত।আমার মনে হয় এসবই শুধু মাত্র লোক দেখানোর ও যান্ত্রিকতাকে আকডিয়ে চলার এক অভিনব পন্থার অনুসরণ।ঈদ জামাতে ধনী-গরিব এক কাতারে দাড়িয়ে যে সাম্যের বার্তা,সাম্যবোধ আমরা সৃষ্টির তাগিদ অনুভব করি,ঈদ উৎসব উদযাপন করি,তার সঠিক বাস্তবায়নার্থে সঠিক পথে চলার তাগিদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।যান্ত্রিকতা ও কৃত্রিমতা পরিহার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবশ্যিক ভেবে গ্রহণ করা সময়ের দাবী বলে বিশ্বাস।আজ আমরা হয়ে পড়েছি উগ্র,উগ্রতাকে হৃদয়ে স্থান দিয়েছি অবস্থা দৃষ্টে তাই মনে হয়।কিন্তু আমাদেরকে লালন করার কথা গ্রামের সাধারণ মানুষের সুখ-শান্তির উদ্দেশ্যে উগ্রতা বর্জিত শান্তিময়,সুশৃঙ্খল জীবনের  অধিকারি পরিবেশ সৃষ্টি করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।সবার জীবন হোক মধুময় শান্তির সুশীতল বাতাসে আনন্দময় এ মোর হৃদয়জ আর্তি। .


লেখক মিজানুর রহমান মিজান,প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক চান মিয়া স্মৃতি পাঠাগার,রাজাগঞ্জ বাজার,বিশ্বনাথ,সাবেক সভাপতি বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব বিশ্বনাথ, সিলেট।মোবা ০১৭১২৮৭৯৫১৬।     
         
 .

.

ডে-নাইট-নিউজ /

সম্পাদকীয় বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ