স্বপ্ন যখন স্মার্ট বাংলাদেশের প্রযুক্তি গ্রাডুয়েডদের চাহিদা মূল্যায়ন!
বিস্তারিতঃ
স্বপ্ন যখন স্মার্ট বাংলাদেশের, কয়টা ছেলেমেয়েকে সরকারি কর্মসংস্থানে আনা সম্ভব হলো! একটা প্রোগ্রামার লাগবে, একটা নেটওয়ার্ক এডমিন লাগবে, একটা আইটি অফিসার লাগবে এমন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আদো স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব? স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্তুত এমন হতে হবে যে, প্রতি বছরই অন্তত ১০০ প্রোগ্রামার লাগবে, ১০০ নেটওয়ার্ক এডমিন লাগবে, ১০০ আইটি অফিসার লাগবে এবং রিলেটেড অন্য পোষ্ট গুলোর জন্য আরো বেশি পরিমাণে সরকারি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে।
অবশ্যই সরকারি দপ্তর ও সকল সেক্টর সহ জনসেবার যত অফিস বা প্লাটফর্ম আছে সকল জায়গাই অন্তত একটি মূলধারার আইটি পোষ্ট সৃষ্টি ও এর ব্যবহার কনফার্ম না হওয়া পর্যন্ত আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বীকার করি না। স্মার্ট বাংলাদেশ তো ডিজিটাল প্রজন্মের পরের লেভেল যা অধিক পরিমাণে আধুনিক ও সবচেয়ে অধিক কল্পনা ও আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে একটি স্বপ্নের দেশ।।
অত্যান্ত দুঃখজনক হলেও চরম সত্য যে, কম্পিউটার বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে গ্রাডুয়েশন ও পোষ্ট গ্রেডুয়েশন সম্পন্য করা ৫০ ভাগ (৫০%) ছেলেমেয়ে (নন-আইটি ফিল্ডে) জেনারেল চাকরি করে, এর কারন পর্যাপ্ত ফিল্ড নাই, যে গুলো আছে সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা ও নিয়োগ নাই। কোনরকমে বেকারত্ব দূর করতে নাম মাত্র বেতনে যোগ্যতা ও দক্ষতার তোয়াক্কা না করে যেকোন সুযোগ লুফে নিচ্ছেন।। অনেকে অন্তত বিয়ে করার জন্যে হলেও নাম মাত্র কিছু একটা কাজে নিয়োগ হচ্ছেন অথবা উদ্যোক্তা হচ্ছেন।
আরো বিপদজনক অবস্থা হলো, ৩০ ভাগ (৩০%) প্রযুক্তি গ্রাডুয়েটরা একেবারেই বেকার থাকছেন এবং এর কারন হচ্ছে তাদের একাডেমিক যোগ্যতা ও দক্ষতা কোথাও কাজে লাগানো অথবা পরিচর্যার সুযোগই পাচ্ছে না।। চাকরি খোজার দৌরে কিংবা উদ্যোক্তা হবার পথে এই ৩০ ভাগ একেবারেই বঞ্চিত।।
কিছুটা স্বস্তিজনক হলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রযুক্তি ও আইটি প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত ১৯ ভাগ (১৯%) প্রযুক্তি গ্রাডুয়েটরা যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। এবং শুধুমাত্র ০১ ভাগ (০১%) প্রযুক্তি গ্রাডুয়েট বাৎসরিক নিয়োগের ভিত্তিতে সরকারি প্রযুক্তি বা জনসেবা সেক্টরে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন।
সার্বিক পরিস্থিতি ও ব্যবস্থাপনার দিকে আলোকপাত করলে আমরা কোনভাবেই এখনি বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে পারি না। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রযুক্তিখাত ও জনসেবার সেক্টর গুলোতে প্রযুক্তি গ্রাডুয়েটদের বড় একটি অংশ যতদিন যোগ্যতা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে না পারবে ততদিন কি করে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়। যদি জোড় করে ডিজিটাল দেশের খেতাব দেওয়া হয় তা হবে অত্যন্ত স্বার্থপরতা ও অন্যায়।
প্রযুক্তি গ্রাডুয়েটরা স্বপ্ন দেখে এবং আশা রাখে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা এবং চাহিদা ও প্রত্যাশা খুভ দ্রুত বাড়বে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ তার প্রত্যাশার আলোকে স্মার্ট বাংলাদেশে আবির্ভাব হবে।।
ইঞ্জিঃ আবদুল্লাহ আল মামুন প্রধান,
মেম্বার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি।
email: [email protected].
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: