• ঢাকা
  • শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

হাফেজিয়া এলাকা মরণফাঁদ দুই বছরে ১০ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-৭


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৩০ পিএম;
হাফেজিয়া এলাকা মরণফাঁদ, দুই বছরে ১০ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-৭
হাফেজিয়া এলাকা মরণফাঁদ দুই বছরে ১০ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-৭

লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালীয়া হাফেজিয়া নামক স্থানটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত দুই বছরে এখানে অন্তত ১০টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য নারী-পুরুষ। আহতদের অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থায় যাতায়াত নিরাপদ করতে ওই স্থানটিতে স্পিডব্রেকার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।.

 .

 .

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের নাজিরিয়া গ্রামীণ সড়কের সংযোগস্থলটি হাফেজিয়া এলাকা হিসেবে পরিচিত। সড়কটি দিয়ে উপজেলার কাদিরপণ্ডিতেরহাট, জাজিরা, নোয়াহাট, দেওয়ান মার্কেট ও পাতাবুনিয়া এলাকার লোকজন চলাচল করেন।.

 .

 .

যাতায়াত সুবিধা ও লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের বিকল্প হিসেবে মতিরহাট, মুন্সিরহাট, চৌধুরী বাজার, নবীগঞ্জ ও ভক্তপাড়া এলাকার লোকজন জরুরি প্রয়োজনে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে এ সড়কটি ব্যবহার করেন। এছাড়া ওই সংযোগস্থলের পাশেই গড়ে উঠেছে হাফেজিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসা এবং কমলনগর মহিলা মাদ্রাসাসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে কয়েকশ ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করছে। এসব কারণে এ স্থানটি ব্যস্ততম সড়কে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এখানে কোনো স্পিডব্রেকার না থাকায় ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা।.

 .

 .

গত ১ জানুয়ারি ওই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রদলের এক কর্মীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গত বছরের এপ্রিলে ওই স্থানে মোটরসাইকেল আরোহী এক স্কুল শিক্ষক দ্রুতগতির বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এর আগে ওই এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় যাত্রীবাহী অটোরিকশার দুই যাত্রী এবং পৃথক দুর্ঘটনায় এক প্রবাসী ও এক নারী নিহত হন। এ নিয়ে গত দুই বছরে ওই স্থানে ঘটে যাওয়া অন্তত ১০টি দুর্ঘটনায় ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।.

 .

 .

স্থানীয় বাসিন্দা ও কমলনগর মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. আবদুল বয়ান ও উপজেলা গ্রাম পুলিশ সমিতির সভাপতি মো. ইসমাইলসহ কয়েকজন বলেন, নাজিরিয়া সড়ক ও লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের প্রবেশমুখ একটি ত্রিমুখী সংযোগস্থল। এখানে স্পিডব্রেকার না থাকায় কয়েকদিন পরপরই দুর্ঘটনা ঘটে। এ স্থানটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে ওই স্থানে একটি স্পিডব্রেকার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।.

 .

 .

ওই সড়কে যাতায়াতকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার কয়েকজন চালক জানান, লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের চরলরেন্স থেকে হাজিরহাটের মিয়াপাড়া মোড় পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক সোজা হওয়ায় চালকরা অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালান। আবার, নাজিরিয়া সড়ক হয়ে যানবাহনগুলোর চালকরা ডান-বাম না তাকিয়ে সরাসরি প্রবেশমুখ হয়ে লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কে ঢুকে পড়েন। এতে মূল সড়কের দুদিক থেকে আসা দ্রুতগতির যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।.

 .

 .

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কমলনগর উপজেলা প্রকৗশলী সোহেল আনোয়ার বলেন, সড়কটির ওই স্থানে গতি কমিয়ে গাড়ি চালাতে সাইনবোর্ডে নির্দেশনা দেয়া আছে। তাছাড়া, মূল সড়কে স্পিডব্রেকার দিতে হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা লাগে। তাই এলাকাবাসীর দাবির বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।.

 .

 .

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, ওই স্থানটি দুর্ঘটনাপ্রবণ হওয়ার বিষয়টি তিনি অবগত। স্পিডব্রেকার নির্মাণে এলাকাবাসীর দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। অনুমতি পেলে ওই স্থানে স্পিডব্রেকার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।. .

ডে-নাইট-নিউজ / নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি)

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ