• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

আগেকার দিনের ছনের চাউনিযুক্ত গৃহ : মিজানুর রহমান মিজান


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:২৩ এএম;
আগেকার, দিন, ছন, চাউনি, যুক্ত, গৃহ, মিজানুর রহমান মিজান
আগেকার দিনের ছনের চাউনিযুক্ত গৃহ : মিজানুর রহমান মিজান

নীচের ছবিটির মতো গৃহ আজ সিলেটের কোথাও দেখা যায় না।এক সময় সর্বত্র প্রায় এ জাতীয় গৃহের দৃশ্য গোচরীভুত হত।অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন এ জাতীয় গৃহে সাধারণত বসবাস করতেন নিম্ন আয়ের মানুষ বা দরিদ্র শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত সম্প্রদায়।না না তা সঠিক নয়।হ্যাঁ কোনো কোনো দরিদ্র পরিবার বসত করলেও অনেক ধনী লোক ইচ্ছা করেও এ জাতীয় গৃহে বসবাস করতেন স্বেচ্ছা-প্রণোদিত হয়ে।কারন এখনকার মতো আগেকার দিনে এসি,ফ্যান ইত্যাদি নানা প্রকারের ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ছিল না বা প্রচলিত ছিলো না।তাই গরমের দিনে মানুষ গরমে অতিষ্ট হয়ে হাঁসফাস করতেন।টিনের চালাযুক্ত গৃহ বা দালান কোটায় প্রচুর গরমে মানুষের জীবনযাত্রা অনেক সময় অসহনীয় হয়ে পড়তো।.

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

 .

তাই অনেক ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যদের তথা মুখ থেকে শুনেছি,তাঁরা ইচ্ছা করেই বা সামর্থ থাকা সত্তেও টিন বা পাকাগৃহ নির্মাণ করেননি।অসহ্য গরম থেকে রেহাই বা স্বস্থি পাওয়ার প্রত্যাশায়।আজ ছনের চাউনিযুক্ত গৃহ গিয়েছে হারিয়ে অভিমানে হয়তোবা।আজ সকলেই অভ্যস্থ হয়ে গেছেন টিন বা ঢালাইযুক্ত গৃহ তৈরীর প্রতি আকৃষ্টতায়।তবে বর্তমান প্রজন্মের অনেকের মুখে শুনা যায় ঢালাই গৃহে গরমের অতিষ্টতা অধিক পরিমাণে রয়েছে।তাছাড়া শীতের রাতে ও কোন কোন গৃহে লেপ গায়ে দেয়া লাগে না।আরো অসুবিধা রয়েছে রাতের বেলা দরজা-জানালা বন্ধ করলে আর বাহিরের কিছুই অনুমান বা শুনা মুশকিলের কথা।আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের অনেক ঐতিহ্য,ইতিহাস ভুলে আধুনিকতার পথে হচ্ছি অগ্রসরমান।চডুই পাখি বাসা বাঁধতো ছনের চাউনিযুক্ত চালে অনায়াসে।অনেক সময় শিশু কিশোররা সন্ধ্যার পর চডুই পাখি ধরতেন সহজে।কিন্তু চডুই পাখি কেহ খেতেন না।আজ ও খাওয়া হয় না। তবে হারিয়ে গেছে চডুই পাখির কিচির মিচির শব্দটি।   . .

ডে-নাইট-নিউজ / মিজানুর রহমান মিজান

সাহিত্য-সংস্কৃতি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ