মিজানুর রহমান মিজান: উনিশ শতকের ষাট থেকে আশির দশকে বিয়ে-শাদী কিংবা কোন অনুষ্ঠান রাতের বেলা হলে ডেলাইট ছাড়া কল্পনা করা ছিলো ভুল।ডেলাইটের আরেকটি নাম ছিলো প্রচলিত।অনেকে ডাকতেন ডেলাইট।আবার কেহ কেহ ডাকতেন পেট্রোমাছ।ডেলাইটের আলোতে অনুষ্ঠানের সফলতা ছিলো বিদ্যমান।ক্ষণিক পরেই লাইটে দেয়া লাগতো ‘ফাম’(সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় পাম্প দেয়া)।ঝরে যেত মেনটেল।বদল করতে লাগতো মেকার বা কারিগর।সারারাত মেকার বা কারিগর থাকতেন প্রস্তুত,কখন তৈল ফুরিয়ে যায়,মেনতেল নষ্ট হয়,ফাম যায় ফুরিয়ে।.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
এ বিষয়ে তটস্থ।তখন বিদ্যুতের ব্যবহার মোটেই ছিলো না। ডেলাইট জ্বালাতে প্রয়োজন ছিলো সাদা কেরোসিনের।তখন বাজারে পাওয়া যেত দু’ধরণের কেরোসিন।লাল কেরোসিন ও সাদা কেরোসিন।সাদা কেরোসিনই ছিল ডেলাইটের উপযোগি দ্রব্য।অনুষ্ঠানের রাতে বাজার থেকে একাধিক মেনতেল মজুদ রাখা হত।কখন জানি ঝরে যায় মেনতেল।আজকের বিদ্যুতের বাল্ব যে ভাবে আলো দেয়,সে রকমই এক ধরণের বাল্ব সমতুল প্যাকেটজাত থাকতো মেনতেল।তখন জনপ্রিয় গানও ছিল প্রচলিত এ ডেলাইট নিয়ে‘বাতির মেনতেলে তেল টানে’খ্যাতি।বিদ্যুৎ আসায় পেট্রমাস বা ডেলাইট নতুনের কাছে সকল দায়িত্ব অর্পণ করে বিদায় নিয়েছে স্ব-সম্মানে।আমরাও তা গ্রহণ করেছি অতি আদরে,সম্মানের সহিত।. .
ডে-নাইট-নিউজ / মিজানুর রহমান মিজান
আপনার মতামত লিখুন: