• ঢাকা
  • শনিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

সাম্প্রতিক উত্তাল বিশ্বনাথ


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: শনিবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:২০ পিএম;
সাম্প্রতিক উত্তাল বিশ্বনাথ
সাম্প্রতিক উত্তাল বিশ্বনাথ

সাম্প্রতিক উত্তাল বিশ্বনাথ (শেষপর্ব).

মো. সায়েস্তা মিয়া:-.

বিশ্বনাথের দুই রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধির স্যোসাল মিডিয়ায় আক্রমনাত্বক কথাবার্তা বেশ অশালীন বলে উপজেলা জুড়ে মানুষের মুখে মুখে চলছে এর চর্চা।সাম্প্রতিক উত্তাল বিশ্বনাথ নামে লেখার প্রথম পর্ব যে দিন লিখছিলাম সেই দিনই পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের উপর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়ার পক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল হক নামের এক ব্যাক্তি বাদী হয়ে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন- যে, গত ২০ আগস্ট দিবাগত রাত ১০ ঘটিকার সময় ও এর আগে ও পরে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে মেয়র মুহিবুর রহমান এর আইডি থেকে মানহানিকর কথাবার্তা বলেন।এজাহারে বলা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া “ সে মদ খেয়ে পুলিশের উপর আক্রমন এবং সে আমার শরীর মালিশ করত’ পা টিপতো, মুহিত সাবের পা( সাবেক অর্থমন্ত্রী)পা টিপা শুরু করে নৌকা নিয়ে কেন্দ্র দখল করে চেয়ারম্যান পাশ করেছে। নুনু মিয়া নাকি অশিক্ষিত, ফাইল-টাইল কিছু পড়তে পারে না, অফিসাররা যা দেয় তাতে দস্তখত করে দুর্ণীতি করেছে। টিউবওয়েলের টাকা মেরেছে, এডিসি এসে তদন্ত করেছে। একটি টিউবওয়েলে ২৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে। আসামী মুহিবুর রহমান ফেইসবুক লাইভে বলে এই চুরটাকে হটাতে হবে।” এধরনের আরো অনেক অভিযোগ এনেছেন বাদি। বাদির অভিযোগ আমলে নিয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলার বিষয়টি পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই এলাহি কথাবার্তা নিয়ে সাধারণ মানুষ বিনোদন উপভোগ করছেন।নিচ থেকে উপর সারির সংবাদ মাধ্যমগুলো ফলাও করে এই খবরগুলো ছেপেছে। দেশ ও প্রবাস থেকে অনেকেই ভিডিও লাইভ করে তাদের নিয়ে তামাশা তাচ্ছিল্য করছেন। কোন পথে যাচ্ছে প্রবাসী অধ্যুষিত এই এলাকার ভবিষ্যাত এখন ও তা বলা মুশকিল। মামলা চলমান হওয়াতে আদালত কর্তৃক বিষয়গুলোর একটি সমাধান হবে এমনটাই সাধারন মানুষের ধারণা। কিন্তু অবাক করা কথা হল দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নিরব দর্শকের সারিতে চেয়ে চেয়ে দেখছেন। উপর মহল থেকে প্রদক্ষেপ নিলে হয়তো এর সহজ সমাধান ইতিমধ্যে হয়ে যেত।.

রাজনৈতিক অভিভাবক শুন্যতা কোন জনপদের জন্য মঙ্গল নয়। যারা উপর সারিতে আছেন তারা একটু কঠিন হস্ত হলে যে কোন দলের মান সম্মান বাচেঁ। গ্লোবাল ভিলেজ খ্যাত বর্তমান বিশ্বে ঘটনার চেয়ে রটনার প্রকাশ আসলেই বেশি হয়ে থাকে বলে দেখা যায়।কিন্তু যাহা রটে-তাহা কিছু না কিছু ঘটে এ কথা অস্বীকার করা যায় না।.

আঞ্চলিক উন্নয়নে অবদানের ক্ষেত্রে নীতি আদর্শ ঠিক রেখে চলতে হয়। যিনি যত পিওর তিনির মসনদ তত দির্ঘস্থায়ী। মানুষের বিবেকের আদালত সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কখনো ভুল করে না। রাজনৈতিক আদর্শ ঘরে ঘরে বৈরিতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাস্তবায়ন না করে সমতা, মমতা ও জবাবদিহীতার আলোকে বাস্তবায়ন করা হলে সমাজ থেকে অপরাধ কমে যাবে। শান্তি ছাড়া মানুষের জীবন কল্পনা করা কঠিন। ইদানিং কেন যেন আমার কাছে লক্ষনিয় হচ্ছে রাজনৈতিক কারণে সমাজের সম্প্রীতি মার খাচ্ছে। মানুষ যেখানে আছে দল সেখানে থাকবে, মতের বিভাজন থাকবে, কিন্তু এমন যদি হয় একদল আরেকদলের সাথে বসবে না, খাবে না, আত্মীয়তা করবে না তা হলে সামাজিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি ঠেকবে কোথায় একবার চিন্তা করে দেখুনতো। আমরা জানি পরিবার পরেই হচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা। সমাজ ব্যবস্থা এঁকা-এঁকা হয় না। গোটা কয়েক পরিবার মিলেই সমাজ তৈরি হয়। গোটা কয়েক পরিবার মিলতে হলে বিভিন্ন মত, পথ ও নীতির মানুষ এই বন্ধনের আওতায় এসে যায়।সবার মত, পথ কে গুরুত্ব দিয়েই সমাজ ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। রাজনীতির কঠোরতায় যদি আওয়ামীলীগে-আওয়ামীলীগে, বিএনপি-বিএনপিতে- জামাত- জামাতে- জাতীয় পাটি-জাতীয় পার্টিতে বিয়েশাদী কিংবা উঠাবসা করে তাহলে এই সমাজ ব্যবস্থাকে উদার বলা যাবে না কিংবা এই সমাজ ব্যবস্থা থেকে শান্তি আশা করা যাবে না এটা আমি আগাম বলতে পারি। পরিবার-সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে আমাদের বাচঁতে হলে ভ্রাতৃত্বের বিষয়টি, সম্মানের বিষয়টি এঁকে অন্যকে বুকে টেনে নেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। দলের স্বার্থে আপনার মতাদর্শ ভিন্ন হোক তাতে কোনো ক্ষতি নেই। আপনার দলের আদর্শ আর আমার দলের আদর্শ দুইবনে দুই সিংহের মুখোমুখি অবস্থানের মত থাকুক তাতে কি! আমরা সমাজ বাচাঁতে গিয়ে, সম্প্রীতি বজায় রাখতে গিয়ে, খাবো এক থালায়, ঘুমাবো এক বিছানায়। আত্মীয়তা করব একে অন্যের  সাথে, এই হোক আমাদের লক্ষ্য।.

.

ডে-নাইট-নিউজ /

সাহিত্য-সংস্কৃতি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ