মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল তথা এমডিজি এর বর্ধিত ও সম্প্রসারিত রুপ কে বলা হয় এসডিজি । এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। ২০২১ বিদায়ের সুর বাজাচ্ছে। এসডিজির স্বপ্নপূরণ হলো কতটুকু এই ছয় বছরে! .
এসডিজির ১৩ নম্বরে বলা হয়েছে "জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ"। জলবায়ু বলতে একটি একটি দীর্ঘ সময়ে তাপমাত্রা, বায়ু, বৃষ্টিপাত ইত্যাদির গড়কে বোঝায়৷ মাত্রাতিরিক্ত শিল্পায়ন, অবাধে বনায়ন ধ্বংস, কার্বন ডাই-অক্সাইড এর ব্যাপকতা ও মিথেন গ্যাস এর ছড়াছড়ি তে জলবায়ু পরিবর্তন এর বিভীষিকা বিশ্ব আজ দেখতে শুরু করেছে৷ জলবায়ু স্থির নয় বরং জলবায়ু সর্বদাই পরিবর্তনশীল৷ জলবায়ু পরিবর্তন প্রাকৃতিক নানা কারণে হতে পারে৷ কিন্তু প্রাকৃতিক কারণ ছাড়িয়ে মনুষ্য সৃষ্টি দূষণে জলবায়ু আজ ধ্বংসাত্মক পরিবর্তনের দিকে এগোচ্ছে। এন্টার্কটিকার বরফ ক্রমেই কমে যাচ্ছে এবং সমুদ্রের পানির উচ্চতা ক্রমাগত বাড়িয়েই চলছে৷ এখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসতেি পারে, কেনো এই বরফ গলে পড়ছে! .
এন্টার্কটিকার তাপমাত্রা সর্বদাই মাইনাস ১০ ডিগ্রির কাছাকাছি উঠানামা করে, তবে বরফের ভেতর তা মাইনাস ৫৭ ডিগ্রির উপর ও উঠতে পারে৷ কার্বন ডাই-অক্সাইড ও মিথেন এর অতিদূষণ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে তাপ ধরে রাখার মাধ্যমে তাপমাত্রা বাড়িয়েই তুলছে ক্রমশ। ফলশ্রুতিতে, এর প্রভাব পড়ছে সুদূর এন্টার্কটিকা তেও৷ ফলে সেখানকার তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে বরফকে গলিয়ে ফেলছে৷ যার কারণেই বাড়ছে সমুদ্রের পানির উচ্চতা ও প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় দিনাতিপাত করছে সমুদ্র উপকুলবর্তী দেশগুলো৷ যা এসডিজির ১১ নম্বর( টেকসই শহর ও সম্প্রদায়) , ১৪(সমুদ্রের সুরক্ষা), ১৫ (ভূমির সুরক্ষা) নম্বর চ্যালেন্জগুলোকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।.
বিশ্ব আজ নানান দিক থেকে হুমকির মুখে৷ যার মধ্যে অন্যতম এই জলবায়ুর চ্যালেন্জ মোকাবিলা৷ যদিও এযাবতকালে কায়টো প্রটোকল, প্যারিস চুক্তি সহ নানা চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে তবুও নির্গমন কি কোন অংশে কমেছে আদৌ! তা আজ বিশ্ববাসীর কাছে এক রহস্য। .
পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে হলে আমাদের সর্বোপরি কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমানো একান্ত আবশ্যক। তা না হলে, করোনা ভাইরাসের চেয়েও বিভীষিকাময় এক পৃথিবী দেখতে হবে তার অধিবাসীদের। এক্ষেত্রে আন্তজার্তিক কুটনীতি ও নিজেদের সচেতনতা ই আমাদের পাথেয় । .
আশ্রাফুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলাম লেখক .
. .
ডে-নাইট-নিউজ / আশ্রাফুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলাম লেখক
আপনার মতামত লিখুন: