দীর্ঘশ্বাস.
আবর্তনশীল পৃথিবীর বুকে ক্ষণস্তায়ী জীবন নিয়ে বসবাস করে মানুষ।মানুষই মানুষের উৎকৃষ্ট বন্ধু। আবার শত্র“ সেজে ধবংস করার পৈশাচিক বর্বরতাকে ও হার মানায়।দৃষ্টি প্রসারিত করলে অনেক নজির দৃষ্ট হবে সহজেই। কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচেছ মানুষকে, পৃথিবীকে ধবংস যজ্ঞে পরিণত করতে। রক্ষা করতেও প্রচেষ্টা রয়েছে অব্যাহত।অনেক ক্ষেত্রে বিসর্জিত.
.
হয় মনুষত্ব , নৈতিকতা , উদারতা , সহনশীলতা ও ধৈর্য। শ্বাস প্রশ্বাসের উপর নির্ভরশীল মানুষের জীবন এ প্রক্রিয়া বন্ধহলেই জীবন প্রদীপের পরিসমাপ্তি .
চিরতরে। তথাপি মানুষের জীবনপ্রবাহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধারা উপধারায় পরিচালিত। একে অপরের সহিত নির্ভরশীল , সম্পর্ক যুক্ত। হোক তা সামাজিক , পারিবারিক বন্ধনের ,.
ভালবাসারমধ্য দিয়ে। অস্তিত্ব , সত্ত্বা নির্ভর রতন শীলার জীবন।.
রতনের একযুগ চলছে শীলাকে নিয়ে। সুন্দর সাজানো গুছানো একটি পরিচছন্ন পারিবারিক জীবন। যেখানে অনাবিল আনন্দ , হাসি-খুশি পূর্ণ নির্মল বায়ুর পরিবেশ বিরাজমান।দারিদ্রতা কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি। দুই দু’টি সন্তানের গর্বিত দম্পতি। রতনের বোধ শক্তি অর্জনের পর থেকেই আত্ব-বিসর্জনের নিদর্শন সুস্পষ্টতায় উজ্জল ভাষ্কর।হোক সামাজিক , পারিবারিক , ব্যক্তি নির্ভর প্রতিটি ক্ষেত্রে সাধ্যাতীত দায়িত্ব সচেতন , কর্তব্য ও অধিকার প্রতিষ্টায় এক নিষ্ট সাধনাব্রত হিসেবে গ্রহণ যোগ্য।নিরহংকারী ,.
স্বাধীন চেতা রতন সবার সহিত সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ়তার প্রয়াস অব্যাহত। নিজকে অপরের তরে বিলিয়ে দেবার বাসনা হৃদয় রাজ্যে বহমান সর্বক্ষণ। প্রতিষ্টা.
দেয়ার উদ্দেশ্য সুস্ত , সুন্দর ও মর্যাদার আসনে। স্বপ্ন ঘেরা রাজ্য হবে আবেগ বিহীন বাস্তবতার সম্বন্বয়ে অল্প তুষ্টতায়।.
রতনের লন্ডন প্রবাসী এক বন্ধু একটি স্পন্সর ভিসা ভ্রমন ওসাক্ষাৎ লাভের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। এ ভিজিট ভিসাই কাল হয়ে দাড়াল রতনের বর্তমান , ভবিষ্যত জীবন। উদ্ভাসিত,.
সম্ভাবনাময় আলোকিত জীবনে নেমে এলো মেঘলাকাশ , ঘোর অন্ধকার। চন্দ্রবা সূর্য গ্রহণের প্রাক্কালেধীর লয়ে যেমন গ্রাসকরে অনুরুপয দি স্বামী ভিজিটে লন্ডন চলে যায়।.
তবে স্তায়িত্ব পেতে হয়ত বিয়ে করে ফেলবে এ সন্দেহ প্রবণতায় আকৃষ্ট হয়ে দীর্ঘ দিনের অমানসিক পরিশ্রমে সাজানো ফল , ফুলেভর পুর বাগানটি ক্ষণিক এবং ক্ষণ স্তায়ী ঝড়েরতান্ডবে করে তোলে দু:সহ বেদনাময়। ”সন্দেহ প্রবণ মন , আঁধার ঘোচেনা কখন। ” সন্দেহ নামক বীজ যেখানে হয়েছে পতিত , রক্ষে নেই কোন ক্রমে।শত চেষ্টা করেও.
এ থেকে উত্তোরনের পথ অনেকাংশে রুদ্ধ তুল্য।যা থেকে বেরহবার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। ম্যাচের এককাঠিই যথেষ্ট , গৃহ থেকে গৃহান্তরে ,বন থেকে বনান্তরে আগুনের লেলিহান.
শিখা প্রজ্জলিত করতে আবার ম্যাচের পর ম্যাচ সমাপ্ত করে.
এক গৃহ জ্বালানো হবে দু:সাধ্য। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে শীলা শুরু করে যত্র তত্র যাত্রা। তাবিজ কবজ থেকে আরম্ভ করে ডাক্তারী, কবিরাজী। দেখে যেন মনে হয় আউলা-বাউলা , পাগলীনি সমাজ সংসার ত্যাগী। স্বামীরতন যতই বুঝাবার চেষ্টা করে তা হয় অরণ্যে রোদন। জবাব আসে কোথায় , কি করলাম বাহ্যিক সকল কিছু ঠিকঠাক হলেও .
অভ্যন্তরে তুষের অনলে ছাইএ রুপান্তরিত হচেছ প্রতি নিয়ত।.
শীলা পিতা মাতা , ভাইকেও ক্ষেপিয়ে তোলে বিদ্রোহের আগুন জ্বালায় রতনের বিপক্ষে। তারা বুঝে ও না বুঝার ভান স্বরুপ বেড়াতে নিয়ে আটকায়। এক বার রতন আত্ম-সম্মান বিসর্জন দিয়ে শুধু মাত্র দু’টি সন্তানের মুখ চেয়ে গৃহে আনে। আবারো অকারনে , অনাকাংখিতভাবে স্বল্প দিনের ব্যবধানে আটকায়।উপলক্ষ্য বিহীন .
আটকানোমেনে নিতে পারে না বিধায় পরিক্ষার নিমিত্তে চেয়ার ম্যান মারফততালাকের দাবী জানিয়ে নোটিশ প্রদান করে।শরিয়ত সম্মত কোন প্রকার.
শব্দ উচচারন বিহীন। রতন মনে করে ইচছার বিরুদ্ধে এক জনকে আনয়নের প্রচেষ্টা নির্যাতন তুল্য। স্বামী গৃহে ফিরে আসার অভিলাষ থাকলে চলে আসবে সরাসরি।.
নতুবা প্রয়াস থাকবে , চালাবে লক্ষ্যকে সামনে রেখে। কিন্তু দৃশ্যত ঘটল , প্রমাণিত হল না আসার অভিপ্রায়। যা হবার তাই হল। নদীর জল অনেক গড়াল। খোর পোষ , মোহরানা .
নিয়ে আবার স্বামী গৃহে আসার কথা ব্যক্ত। এটা সত্যিকার না উপহাস তা ভেবে দেখার ভার পাঠকের উপর ন্যস্ত।.
রতন বার বার প্রতিক্ষারত যদি শীলা তার ভুল বুঝতে পারে , অনুতপ্ত ও বিনয় ভাব পরিলক্ষিত হয়। তবে সত্যিকার অর্থে ফিরিয়ে আনবে আন্তরিকতার সহিত।কিন্তু শীলা দৃঢ়তার .
সহিত কস্মিন আসার কথা বলেনি। সুতরাং রতন হয় চিন্তা ক্লিষ্ট ভাবনার রাজ্যে বিচরণের মাধ্যমে।প্রসঙ্গত মিথ্যার বেশাতি করে রতনের দু’চাচাত ভাইকে.
জড়িয়ে অপমানে জর্জরিত , আনার পথে বা রতনকে ঘায়েল করতে যে কুট-কৌশল প্রয়োগ হয়ে ছিল।আজ তা শীলার জন্য কাটাঁ হয়ে দাড়িয়েছে শক্ত বাধাঁ রুপে।যারা বিন্দু.
বিসর্গ জড়িতনয় বা সম্পূর্ণ ভিন্নতর প্রভাব বলয় বেষ্টিত।অর্থ্যাৎ ”কুইনাইন জ্বর সারাবে বটে , কিন্তু কুইনাইন সারাবে কে ” শতভাগ বাস্তবায়িত।শীলা কুইনাইন.
খেয়েছিলেন বা প্রয়োগ .
করেছিলেন নিজের কাছে রতনকে বিপর্যস্ত করতে। সে কুইনাইন আজ শীলার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে পর্বত সম। কারন সত্য অপরাজেয়।.
পরোক্ষেশীলা আসার একান্ত ইচছা ব্যক্ত করে। কিন্তু রতন দ্বিধাগ্রস্ত , বিশ্বাস করতে বডড কষ্ট হয়। কারন বিহীন ইস্যু।ধর্মীয় ,.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: