দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নেই সূর্যের দেখা। বইছে হিমশীতল বাতাস। টানা কয়েকদিন ধরে ক্রমশই কমছে তাপমাত্রা। বেড়েছে শীতের তিব্রতা। শীতের তীব্রতার সঙ্গে ঘনকুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে পুরো দিন। যার ফলে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে ছোটবড় যানবাহন।.
.
দিনাজপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনাজপুর জেলার সকাল ৬ টা ও সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গড় গতিবেশ ঘন্টায় ৩ কিলোমিটার।.
.
ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কনকনে হাঁড় কাপানো শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সড়কগুলো যানবাহন চলাচল করলেও কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে। মানুষজন কম থাকায় পৌরশহরের সড়কগুলোতে রিকশা-ভ্যানের যাত্রী শূন্যতা দেখা গেছে। পরিবারের চাহিদা মেটাতে শীত আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন দিনমজুর আর ক্ষেতমজুররা।.
.
.
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত ফুলবাড়ীতে সূর্য্যরে মুখ দেখা যায়নি। গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কাহিল হয়ে পড়েছেন হতদরিদ্র পরিবারগুলো। শীতের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সংখ্যা বেশি।.
.
পৌরশহরের রিকশাভ্যান চালক ফরিদ হোসেন বলেন, কনকনে শীতের জন্য রিকশা নিয়ে বাইরে যেতে মন চায় না। তাছাড়া সকালে লোকজনও কম থাকছে। এজন্য আয়ও কমে গেছে। শীতের কারণে দিন গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আয় হচ্ছে। অন্য সময় গড়ে দিনে ৫০০ থেকে ৭০ টাকা আয় হয়ে থাকে।.
.
ক্ষেতমজুর লুইস হেম্ব্রম বলেন, এ সময় ক্ষেতে খুব ঠান্ডা লাগে, এজন্য সকালে ক্ষেতে যেতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু কাজ না করলে বাড়ীর লোকজনের মুখে খাবার জুটবে না, এজন্য শীত আর কুয়াশার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে। তবে জমির ঠান্ডা পানিতে হাত-পা জমে আসার উপক্রম হচ্ছে।.
.
উপজেলা দৌলতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জানিপুর গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, বাঁধাকপি লাগিয়েছেন এক বিঘা জমিতে। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে সকালে ক্ষেত থেকে বাঁধাকপি তুলে বিক্রির জন্য বাজারে আনা যাচ্ছে না। এতে করে ক্ষেতের বাঁধাকপি বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।.
.
.
উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সানাউল্লাহকে তার মুঠোফোন (০১৭৩৪ ২৭৯১৫১ নম্বরে) একাধিকবার ফোন কল করা হলে, ফোনে রিং টন বাজলেও তিনি কল গ্রহণ না করায় ফুলবাড়ীতে ত্রাণের কম্বল ও নগদ অর্থ সম্পর্কে কোনো সঠিক তথ্য জানা যায়নি।.
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপনার মতামত লিখুন: