পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মাহফিল শুনে বাড়ি ফেরার পথে আমিরুল ইসলাম হাওলাদার (৪৩) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার ৪ আসামী ২ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আব্দুল কুদ্দুস। এর অগে গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুল আজাদ শুনানী শেষে প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামীরা হলো- হাফিজুর রহমান হায়দার (৫১), তাহসিন আরবি (১৯), নিয়াজ মাহমুদ (১৭), হোসাইন (১৮)।.
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল কুদ্দস বলেন, ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রত্যেকে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেন। দুই সন্তানের জনক দুবাই প্রবাসি নিহত আমিরুল ইসলাম দাউদখালী ইউনিয়নের চালিতা বুনিয়া গ্রামের মুনসুর আলী ওরফে মোকসেদ আলী হাওলাদার এর ছেলে। .
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমিরুল বাড়ি থেকে স্থানীয় চালিতাবুনিয়া দীনিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ওয়াজ মাহাফিল শুনতে যান। মাহাফিল শেষে রাত দেড়টার দিকে সে গ্রামের সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এসময় পঞ্চায়েত বাড়ির রাস্তার মোড়ে পৌছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল হতে নিহত আমিরুলের লাশ উদ্ধার করেন।.
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মাওলানা মো. নূরুল ইসলাম (৫৩) বাদি হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ৫ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৫ জনের বিরেুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন। আসামীরা হলো- উপজেলার চালিতা বুনিয়া গ্রামের মৃত. তোফাজ্জেল হোসেন পঞ্চায়েতের ছেলে, হাফিজুর রহমান হায়দার (৫১), অলিউর রহমান অলি (৪৫), হাফিজুর রহমান হায়দার পঞ্চায়েত ছেলে তাহসিন আরবি (১৯), মাহাবুবুর রহমান পঞ্চায়েতের ছেলে নিয়াজ (১৭), ইউনুস হাওলাদারের ছেলে হোসাইন (১৮)। ঘটনার পর পরই থানা পুলিশ হাফিজুর রহমান হায়দার, তাহসিন আরবি, নিয়াজ মাহামুদ ও হাসাইনকে আটক করে ।.
নিহতের ভাই অলিউল ইসলাম খোকন বলেন, চালিতাবুনিয়া গ্রামের হায়দার পঞ্চায়েতের ছেলে তাহসিন আরবির সাথে আমার বড় ভাই আমিরুল ইসলামের ছেলে তরিকুল ইসলামের সাথে একমাস পূর্বে ক্রিকেট খেলার সময় মোবাইল ফোন নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে আমিরুলকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।.
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আমিরুল ইসলাম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য ৪ আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এই মূহুর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, এ মামলার পলাতক এজাহারভুক্ত আসামী অলিউর রহমান অলিকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে। এছাড়াও এ হত্যাকান্ডে জড়ীতদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / জহিরুল ইসলাম, পিরোজপুর প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: