• ঢাকা
  • বুধবার, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ ফেরুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

হরিনাকুন্ডুতে ওয়াজ মাহাফিল কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেরুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৩১ পিএম;
হরিনাকুন্ডুতে ওয়াজ মাহাফিল কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
হরিনাকুন্ডুতে ওয়াজ মাহাফিল কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মোশাররফ হোসেন (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোশাররফ হোসেন ওই এলাকার খবির মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় ঝিনাইদহ জজ‌কো‌র্টে আইনজীবীর সহকারী হি‌সে‌বে কর্মরত ছি‌লেন। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- ওই গ্রামের খবির মন্ডলের ছেলে নাসির উদ্দিন, হানেফ আলী, আব্দুল খালেক, বিলাত আলীর ছেলে আরব আলী, আব্দুল খালেকের ছেলে রবিন, আব্দুস সোবাহানের ছেলে কাওছার মন্ডল ও তার ভাই আব্দুল আলীম। আহতরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে নাসির উদ্দিন ও কওছার আলীর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফ উদ্দীন স্বপন জানান, উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন এবং বিএনপির কর্মী ও গ্রামের মাতবর দবির উদ্দিনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। সোমবার রাতে ওয়াজ মাহফিলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু-গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। .

 .

 .

এর জেরে মঙ্গলবার সকালে দবির ও মোশাররফ হোসেন মাঠে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মোশাররফ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহবুবুল আলম বলেন, সকালে হরিণাকুণ্ডু থেকে কয়েকজন রোগী এসেছিল। তাদের মধ্যে মোশাররফকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতের ভাই দবির উদ্দিন বলেন, সকালে আমার ভাই মাঠে কাজ করছিল। এ সময় মহিউদ্দিনের লোকজন তার ওপর হামলা চালায়। সে বাঁচতে বাড়ির দিকে দৌড় দেয়। অপর পক্ষের লোকজন দৌড়ে গিয়ে বাড়ির সামনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ বিষয়ে জানতে মহিউদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ রউফ খান বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে একই পরিবারের মধ্যে বিরোধ ছিল। এ ঘটনায় মোশাররফ হোসেনকে কুপিয়ে আহত করা হলে তিনি মারা যান। ঘটনায় মহিন নামের একজনকে আটক করে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে. .

ডে-নাইট-নিউজ / Atik Tutul

অপরাধ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ