বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) শিক্ষক নিয়োগে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি আগামী এপ্রিল মাসে প্রকাশ করা হতে পারে। এর অংশ হিসেবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন অথবা প্রোফাইল হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করেছে।.
এনটিআরসিএ সূত্র বলেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন শেষে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করা হবে। চাহিদা পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই শেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হবে। অনুমোদন পেলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি হতে পারে।.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদ ছিল ৬৮ হাজার ৩৯০টি। যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় মাত্র ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত সুপারিশ করা সম্ভব হয়। এবারও শূন্য পদের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি হবে। কারণ, আগের গণবিজ্ঞপ্তির ৪১ হাজার পদ এখনো ফাঁকা রয়েছে।.
এনটিআরসিএ সদস্য (অর্থ ও প্রশাসন) এস এম মাসুদুর রহমান বলেন, ‘পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে ই-রেজিস্ট্রেশন ও রিকুইজিশন কার্যক্রম শেষ করতে হবে। আশা করছি, আগামী এপ্রিলে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।’.
প্রসঙ্গত, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগে অনলাইনে আবেদন করার পদ্ধতি সহজ করাসহ বেশ কিছু পরিবর্তন আনে এনটিআরসিএ। এতে একজন প্রার্থীর এক আবেদনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া আবেদনের নিচে ‘পছন্দের ৪০টি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পেলে মেধার ভিত্তিতে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পেলে যোগ দেবেন কি না?’ তা পছন্দেরও সুযোগ দেওয়া হয়।.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: